প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২০১১ সালে বাম সরকারকে বিদায় দিয়ে রাজ্যের মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষমতায় এলে স্বচ্ছতা সহকারে চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার আমলে বিগত বাম আমলে থেকেও বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। বছর বছর এসএসসি হওয়া তো দূরের কথা, একবার এসএসসির পরীক্ষা হওয়ার পর যে পরিমাণ দুর্নীতি সামনে এসেছে, যেভাবে আদালতের নির্দেশে টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি চলে গিয়েছে, তা নিয়ে এই রাজ্যের বর্তমান সরকারের দিকে আঙুল তুলছেন সকলে। প্রত্যেকটি পরিবারের মধ্যেই এখন একটাই প্রশ্ন যে, আদৌ এই রাজ্যে স্বচ্ছতার সহকারে নিয়োগ হবে তো তৃণমূল সরকারের আমলে? আদৌ চাকরি পাবে তো যুবসমাজ? তবে একটা বেশিরভাগ অংশের মানুষ খুব ভালো মতই বুঝতে পারছেন যে, তৃণমূল থাকলে রাজ্যে আর স্বচ্ছতার সহকারে চাকরি হবে না। আর এবার সেই বিষয়টি তুলে ধরেই শাসক দলকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যে যে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে এবং নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কেননা আদালতের রায়ে প্রমাণিত যে, কিভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে। যার ফলে আবার নতুন করে পরীক্ষা নিতে হয়েছে এসএসসিকে। স্বাভাবিকভাবেই সেই পরীক্ষার কি ফলাফল হবে, আদৌ সেখানে স্বচ্ছতা পালন করা হবে কিনা, তা নিয়েও অনেকের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। যে দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে, তার ফলে বাংলার যুবসমাজ এই রাজ্যের বর্তমান সরকারের কাছ থেকে আর কোনো স্বচ্ছতা আশা করছেন না। সকলেই চাইছেন যে, এই সরকারের বিসর্জন হোক। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই তৃণমূল থাকলে যে কারওর চাকরি হবে না, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন গঙ্গারামপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে বিজয় সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “স্নাতকে মোট আসন ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার। এই বছর ভর্তি হয়েছে মাত্র ৩ লক্ষ। ৬ লক্ষ ভর্তি হয়নি। কারণ বাবা, মায়েরা পয়সা খরচ করে ছেলেমেয়েদের আর পড়াতে চায় না। কারণ তারা জেনে গিয়েছে, মমতা ব্যানার্জি থাকলে, তৃণমূল থাকলে চাকরি হবে না। টাকা না থাকলে, ফাঁকা খাতা না দিলে চাকরি হবে না।”