প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে আইনের শাসন নেই, এই রাজ্যে যে তৃণমূল সরকারের আমলে কেউ সুরক্ষিত নয়, তা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে বিজেপির এক সাংসদ এবং এক বিধায়ক যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তার পর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে রয়েছেন, সেখানে তিনি উপস্থিত থাকার পরেও কি করে বিরোধীদলের জনপ্রতিনিধিরা এইভাবে রক্তাক্ত হন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির দাবি, এর পেছনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরাই রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপদার্থ পুলিশ মন্ত্রী। সেই কারণে তিনি উত্তরবঙ্গে থাকার পরেও বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা এইভাবে রক্তাক্ত হয়েছেন। তাই এইরকম পুলিশ মন্ত্রী থাকার থেকে না থাকা অনেক ভালো বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে ত্রাণকার্যে সামিল হতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু রক্তাক্ত হয়েছেন‌। আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যে ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমত স্তম্ভিত গোটা রাজ্য এবং দেশ। একটি গণতান্ত্রিক রাজ্যে কি করে এই ধরনের হামলা হতে পারে বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর, তা ভেবে পাচ্ছেন না কেউই। তবে এই রাজ্যটার নাম পশ্চিমবঙ্গ। বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলে হিংসা যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনীতির সঙ্গে। তৃণমূল সরকার এবং দল মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছে। যার ফলস্বরুপ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে যেখানেই বিজেপি বিধায়ক থেকে শুরু করে সাংসদরা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন, সেখানেই তাদের ওপর হামলা করছে তৃণমূলের একটি নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক বলেই অভিযোগ বিজেপির। আর তার মাঝেই আজ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে থাকা সত্ত্বেও কি করে জনপ্রতিনিধিরা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়েই গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

আজ শিলিগুড়িতে আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গর্জে ওঠেন তিনি। যেভাবে বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধির ওপর হামলা হয়েছে, যেভাবে তারা রক্তাক্ত হয়েছেন, তা নিয়ে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই যাদের নাম এবং ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মত করে ট্রিটমেন্ট করবে। আমাদের এখানে যারা আছেন, যারা গিয়েছিলেন, তারা প্রত্যেকে মার খেয়েছেন। উনি রাজ্যের এই অংশে থাকার পরেও একজন সাংসদ যখন এইভাবে আক্রান্ত হলেন, এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয় না কেন? এইরকম অপদার্থ পুলিশ মন্ত্রী থাকার থেকে তাকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হবে।”