প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মানুষ অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকার সময় যেভাবে মানুষের বিপদে আপদে ছুটে যেতেন, সাধারণ মানুষ ভেবেছিল, মুখ্যমন্ত্রী হলে রাজ্যের অনেক উন্নতি হবে। কিন্তু তৃণমূল সরকারের আমলে যে সর্বনাশের মুখে পড়েছে বাংলা, তাতে বিগত বাম সরকারের ৩৪ বছরেও এত ক্ষতি হয়নি বলেই অনেকে মনে করছেন। তাই চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাত এনেছে বলেও অনেক সময় কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। সকলেই চাইছেন, রাজ্য যখন সব দিক থেকে সমস্যা সঙ্কুল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন ২০২৬ এ একটা পরিবর্তন হোক, নতুন সরকার ক্ষমতায় বসুক। আর রাজ্যের বিভিন্ন দিকে যখন অস্থির পরিস্থিতি, ঠিক তখনই তৃণমূল সরকারের আমলে মানুষ অত্যন্ত তিতিবিরক্ত বলে নতুন সরকার গঠনের আহ্বান জানালেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

 

 

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যজুড়ে আবার নতুন করে পরিবর্তনের আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে‌। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি চেষ্টা করছে, যেভাবেই হোক, তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার। মানুষও প্রস্তুত রয়েছে। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন যে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে তো? যদি নির্বাচন ঠিকমত হয়, তাহলে তৃণমূলের বিদায় যে নিশ্চিত, সেই ব্যাপারে একমত বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে বিগত ১৪ বছরের রাজ্যের মানুষ তৃণমূল সরকারের আমলে যে যন্ত্রণার মুখে পড়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।

 

 

এদিন রাজ্যে বর্তমানে একের পর এক যে অরাজকতার পরিস্থিতি সামনে আসছে, তা নিয়ে সোচ্চার হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষ এই ১৪ বছরে তিতিবিরক্ত। আপনার সরকারকে নিয়ে তিতিবিরক্ত। আমরা চাই, আপনার সরকার বিদায় নিক এবং এমন একটা সরকার আসুক যে, বাংলার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ হোক। বাংলার মানুষ আপনাকে ভোট দিয়ে, আপনাকে সরকার গঠন করতে সাহায্য করছে, আর বাংলার মানুষ জলে ভেসে যাবে, বন্যায় ত্রাণ পাবে না, এটা তো চলতে পারে না। যে সরকার আসবে, তাকে দায়বদ্ধ হতে হবে।”