প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের প্রশাসন পুরোপুরি দলদাসের মত আচরণ করছে। যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত, যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত থেকেও বহু অন্যায় মূলক কাজ করে যান, তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে না। অথচ প্রতিবাদী বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের দু মিনিট সময় লাগে না। রাজ্যের বর্তমান প্রবণতা দেখে তেমনটাই দাবি করে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই নবদ্বীপে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় দুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাদের একজনকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, কেন পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তা? আর আজ সেই নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূল করলেই এই রাজ্যে সমস্ত অন্যায় করা যায় এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে না বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে গিয়ে আজ দেখা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুদিন আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, পুলিশ যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে তারা বড় কর্মসূচি নেবেন। সেই মত আজ নবদ্বীপে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার আগে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাদের সবরকম আইনি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি। আর তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেস করলে সে যতই অপরাধ করুক না কেন, তার কোনো ক্ষতি হবে না এবং তার বিরুদ্ধে কেউ পদক্ষেপ নেবে না বলেই দাবি করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না। কারণ ওরা তৃণমূল করে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ানোর পরেও গ্রেফতার হয় না, তৃণমূল সাসপেন্ড করার পরে গ্রেপ্তার হয়। পরিষ্কার কথা, মমতার আমলে যদি তৃণমূল করে, ধর্ষণ করুন, খুন করুন, গ্রেপ্তার হবে না। আর তৃণমূলের যদি মুসলমান হন, গ্রেপ্তার হবে না। এই দুই ধরনের লোকের ছাড়।”