প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই দাবি করেন, তিনি নাকি যে কাজ করে দিয়েছেন, আগামী ১০০ বছরেও সেই কাজ কেউ করতে পারবে না। অথচ তার সরকারের আমলে যে পরিমাণ দুর্নীতি, যে পরিমাণ অত্যাচার, যে পরিমাণ অনাচার, যে পরিমাণ অনুন্নয়ন চোখে পড়েছে, তা অতীতে কোনো সরকারের সময় হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারছেন না রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে যে মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে বাংলা মডেলের কথা তুলে ধরেন, সেই মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যেই এক ভয়ংকর চিত্র সামনে এসেছে। যেখানে একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই রীতিমত সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি তাহলে এগিয়ে বাংলা মডেল? কি ঘটনা ঘটেছে?

এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, কাদামাটির রাস্তা। যেখানে পা দিলেই মানুষ পিছলে যাবে। আর সেই রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার মত উপায় নেই। যার ফলে এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে বাঁশের ডুলি করে কাঁধে সেই বাঁশ নিয়ে তার মধ্যে বসিয়ে স্থানীয় দুই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন দুই ব্যাক্তি। আর এই ছবি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের উন্নয়ন এবং এগিয়ে বাংলা মডেল নিয়ে। এদিকে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওকে হাতিয়ার করে সোচ্চার হচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিরোধীরা।

এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তার জরাজীর্ণ দশা। কিন্তু তারপরেও বারবার করে জানালেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। আজকে এই রকম চিত্র সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে এই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, যে করুণ দৃশ্য এদিন সামনে এসেছে, তারপর সরকার এবং প্রশাসনের লজ্জা হওয়া উচিত। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় অনেক কথা বলেন। কিন্তু তার প্রশাসনের আমলে যিনি এত উন্নয়ন করে দিয়েছেন বলে দাবি করেন, সেখানে একটি রাস্তার সংস্কার কেন হচ্ছে না? কেন দীর্ঘদিন ধরে সাধারন মানুষকে এই অবস্থার মধ্যে বাস করতে হচ্ছে? আজকে যে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে এতটা বিপদজনক রাস্তা দিয়ে বাঁশের ডুলির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো, এই লজ্জা কোথায় রাখবে নবান্ন? অবিলম্বে এদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হবে। তাহলেই রাজ্যে প্রকৃত সুশাসন এবং উন্নয়ন হবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।