প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যে বিরোধীদের বিন্দুমাত্র গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার নেই, সব অধিকার যে তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ে বসে আছে, তা একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। আজ কোচবিহারে আদালতের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেখানে যেভাবে তার কনভয় হামলা করা হলো, যেভাবে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হলো, তার ফলে রাজ্যের সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, যেখানে বিরোধী দলনেতারই নিরাপত্তা নেই, সেখানে বিরোধী দলের কর্মীরা কি করে নিরাপদে রাজনীতি করবেন, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এবার আর তৃণমূলের কোনো চুনোপুঁটি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়, এবার একেবারে সরাসরি কনভয়ে হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন কোচবিহারে যান শুভেন্দু অধিকারী। প্রথম থেকেই তাকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখানো হয়। কিন্তু এসব কিছুকে পাত্তাই দেয়নি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়, যখন শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়, এমনকি তার কনভয়ের কাঁচ পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনার পরেই এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন বিরোধী দলনেতা। ঠিক কি বলেছেন তিনি?

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি আক্রান্ত হইনি। তবে গাড়ির পেছনের কাঁচটা পাথর ছুঁড়ে ভেঙেছে। উদয়ন গুহর নেতৃত্বে হয়েছে। এই উদয়ন বহু ২০২১ সালে ভোট পরবর্তী হিংসায় একাধিক বিজেপি কর্মী, হিন্দু মানুষকে খুন করার দায়ে অভিযুক্ত। এই উদয়ন গুহকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলে ঘোষণা করেছিল। আজকে এই ধরনের ক্রিমিনালকে ছেড়ে রাখার জন্য এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রান্ত হতে হলো।”