প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তার সরকারের আমলে চাকরি দিতে পারেন না। কিন্তু অতীতেও তিনি বলেছিলেন যে, বেকারদের উদ্দেশ্যে তারা একটি টেবিল এবং একটি চেয়ার নিয়ে চপ ঘুগনি বিক্রি করলে নাকি অনেক বেশি স্বাবলম্বী হতে পারবে। কিন্তু যারা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছেন, তারা তো স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য এতটা পরিশ্রম করেছেন। তাদের কি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই কথা প্রাপ্য? চপ, ঘুগনি যারা বিক্রি করেন, তারা অবশ্যই কষ্ট করে, পরিশ্রম করে কাজ করেন। কিন্তু যারা সেই কাজ করছেন, তারা নিজের সন্তানকে পড়াচ্ছেন, আরও বড় পদে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি এই ধরনের কথা বলেন, তাহলে নিঃসন্দেহে তা শিক্ষিত বেকারদের কাছে যথেষ্ট দুঃখ জনক বলেই গণ্য হবে। সম্প্রতি আবার মুখ্যমন্ত্রী সেই চপ, ঘুগনি বিক্রি করার কথা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হয়েছেন। আর সেই বিষয়টি হাতিয়ার করেই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়ির যে সমস্ত বেকার রয়েছে, তাদেরকে দিয়ে কেন এই কাজ শুরু করছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অতীতেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেকারদের উদ্দেশ্যে চপ, ঘুগনি বিক্রি করার কথা বলেছিলেন। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী ট্রোলের শিকার হন। কিন্তু সম্প্রতি আবার তিনি রাজ্যের চাকরি দিতে না পেরে রাজ্যে দুর্নীতির কারণে প্রচুর যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি চলে যাওয়ার পরেও ফের সেই চপ, ঘুগনি বিক্রি করার বার্তা দিয়েছেন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে যুবসমাজ। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলার চেষ্টা করেছেন যে, এই চপ, ঘুগনি বিক্রি করলে নাকি অনেক বেশি লাভ হবে। আর এখানেই পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বেকারদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর এই চপ, ঘুগনি বিক্রির বার্তা প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “চপ, মুড়ি বা ঘুগনি তৈরি করাটা বিষয় নয়। কিন্তু এটা কোনো শিক্ষিত যুবক যুবতী, যাকে তার বাবা-মায়েরা তৈরি করে পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে মেধার উন্মেষ ঘটে, এই কাজটা করে। আমি তো বলছি, ওনার বাড়ির ভাইপো, ভাইজিরা কেন করছে না? মমতা ব্যানার্জি তার বাড়ির যে সমস্ত বেকার রয়েছে, তাদের দিয়ে এটা শুরু করুন। ওনার মামার মেয়ের যে চাকরিটা গিয়েছে, তাহলে সে ঘুগনি দিয়েই শুরু করুক না।”