প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করতেন যে, এই রাজ্যে কিভাবে পুকুর ভরাট চলছে। কিভাবে জলাশয় ভরাট করে কিছু মানুষ অবৈধ কাজ করছেন। কিন্তু বিরোধীদের সেই কথায় বিশ্বাস করতো না রাজ্যের শাসক দল। এমনকি অনেক জায়গায় এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে তৃণমূল নেতারাও জড়িত হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। শুধু তাই নয়, পুলিশের চোখের সামনে এই অবৈধ কারবার চললেও তারা না দেখার ভান করে বলেই অভিযোগ ওঠে। আর এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত একটি এলাকায় গিয়ে পুকুর ভরাটের ঘটনা দেখেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদের চট্টোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একবার প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর এবার জলাশয় ভরাটের ঘটনায় প্রকাশ্যেই তিনি যে মন্তব্য করলেন, তাতে বিরোধীরা বলছেন যে, এর পরেও কি হুঁশ ফিরবে এই রাজ্যের প্রশাসনের?

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের একটা অংশ যে সমস্ত অবৈধ কারবারে প্রশ্রয় দেয় এবং তাদের জন্যই যে অনৈতিক কাজ বাড়ছে, সেই নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সামনে আনে রাজ্যের বিরোধী দল। কিন্তু তৃণমূল বারবার দাবি করে যে, তাদের আমলে নাকি সুশাসন রয়েছে। কিন্তু কতটা সুশাসন রয়েছে, তা এবার রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রীর পুলিশের সামনে যে অসন্তোষ প্রকাশ, তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাটের ঘটনায় রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন এইভাবে পুকুর ভরাট হচ্ছে এবং কেন পুলিশ তা দেখছে না, তা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগেও শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আর এবার অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের ঘটনায় প্রকাশ্যেই সেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই এই রাজ্যে কিভাবে অনৈতিক কারবার চলছে, তা মন্ত্রীই যখন ফাঁস করে দিলেন, তখন নির্বাচনের আগে যে এই বিষয়টি হাতিয়ার করে বিরোধীরা আরও বেশি সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মন্ত্রী যখন পুলিশের সামনে এই অবৈধ ভাবে জলাশয় ভরাট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, তখন এই অন্যায় মূলক প্রবণতা আদৌ কমে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।