প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গতকাল ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেলাগাম আক্রমণ করেছেন নির্বাচন কমিশনকে। একেবারে সরাসরি কমিশনকে বিজেপির বন্ডেড লেবার বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন? তবে মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হেঁটে এবার আজ দিল্লি যাওয়ার আগে সেই নির্বাচন কমিশনকেই নির্লজ্জ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর প্রথমে দলনেত্রী, তারপরে তার দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের একের পর এক নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে এই ধরনের আক্রমণ ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী শিবিরে।
প্রসঙ্গত, আজ দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্যই নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে নির্বাচন কমিশন বলে দাবি করেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “নির্বাচনের এখনও ১০- ১১ মাস বাকি রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগে থেকে নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেবে না বলে বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ করে দেবে বলে এসব করছে। বাংলার প্রতি যেমন ধারাবাহিক বঞ্চনা করে চলেছে কেন্দ্র, বিচার ব্যবস্থাকে যেমন কাজে লাগিয়েছে, সংবাদমাধ্যমের একাংশকে কাজে লাগিয়ে যেমন সন্দেশখালির ঘটনার প্রচার করেছে সর্বভারতীয় স্তরে, এখন নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে বাংলার প্রকৃত বাঙালিরা, যারা বাংলায় কথা বলেন, যারা বাংলার প্রকৃত ভোটার, তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে, তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতেই নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছেন নির্বাচন কমিশন।”
আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন। বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, আর কবে পদক্ষেপ গ্রহণ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপোর বিরুদ্ধে? যে কায়দায় তারা নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করছেন, তা তো সরাসরি সংবিধানকে চ্যালেঞ্জ জানানো। এরপরেও কি করে মুখ বুজে বসে থাকে নির্বাচন কমিশন? অবিলম্বে এইভাবে কমিশনকে আক্রমণের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। কারণ তা না হলে ভারতবর্ষের সংবিধান এবং আইনের প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।