প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এসআইআর হবে কি হবে না, তা নিয়ে একটা দোলাচল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের যে তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট হচ্ছে যে, বাংলায় এসআইআর হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। যদিও বা তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম দিন থেকেই এর বিরোধিতা করছে। তবে বিজেপির দাবি, এসআইআর হলে প্রচুর অবৈধ এবং ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর তাতেই তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার দিন ঘনিয়ে আসবে। আর এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যেই এবার সাংবাদিক বৈঠকে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় এবং রাজ্যে তৃণমূলের জামানত জব্দ হওয়া নিয়ে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই বাংলায় এসআইআর নিয়ে একটা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিজেপি প্রবল আশাবাদী যে, এসআইআর হলেই তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয় নিশ্চিত। আর তার মাঝেই এবার তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তার বক্তব্য, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে পরাজিত হবেন এবং রাজ্যে ৫০ টির বেশি আসন পাবে না তৃণমূল। কিন্তু কেন এতটা নিশ্চিত হচ্ছেন অর্জুনবাবু? এর আগেও তো তারা দাবি করেছিলেন যে, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু দিনের শেষে তো তাদের হার হয়েছে। তাহলে এবার তারা এত আত্মপ্রত্যয়ী কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয় এবং তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়ে?

এদিন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আমার রাজনৈতিক লড়াই। মমতা ব্যানার্জি প্রায় শেষের দিকে। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হবে। রোহিঙ্গা এবং মৃত ভোটারদের নাম বাদ যাবে। প্রায় দেড় কোটি ভোটারের নাম বাদ যাবে। মমতা ব্যানার্জি হারবে। মমতা ব্যানার্জি ৫০ টার ওপরে সিট পাবে না। উনি যতই চেষ্টা করুন, মমতা ব্যানার্জি নিজেই ভবানীপুরে হারবেন।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এর আগেও বিজেপি নেতারা অনেক আত্মপ্রত্যয়ী এমন মন্তব্য করেছিলেন। তবে এবার এসআইআর হলে তাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা অনেকটাই প্রকট বলে অনেকেই দাবি করছেন। সেক্ষেত্রে যদি এসআইআর হয় এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচনে কি ফলাফল হয় এবং তার সঙ্গে অর্জুন সিংহের এই বক্তব্য আদৌ মেলে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।