প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেদিন থেকে ক্ষমতায় এসেছেন, সেদিন থেকেই বেকারদের চোখের জল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে. একটাও চাকরি এই তৃণমূল সরকারের আমলে হয়নি। আর যাদের চাকরি হয়েছে, তারা হয় টাকার বিনিময়ে, তা না হলে দলদাসত্ব করে চাকরি পেয়েছেন। যারা মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদের কি সর্বনাশ হয়েছে, তা এসএসসি ২০১৬ সালের যে প্যানেল, তাতে আদালতের যে নির্দেশ, তা সামনে আসার পরেই সকলের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও এই তৃণমূল সরকারের বিন্দুমাত্র বিবেকবোধ জাগ্রত হয়নি, স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া করার। এসএসসি পক্ষ থেকে আবার নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও, কেন শূন্যপদ বৃদ্ধি করে তারা নয়া পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ্য চাকরিহারাদের গুলিয়ে ফেলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শীর্ষ আদালতে। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলা আবার হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে যে কোনো বেকারের চাকরি হবে না এবং কোনো মেধা যে স্বীকৃতি পাবে না, তা আরও একবার তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রায় বেশ কিছুদিন আগেই ২০১৬ সালের এসএসসির যে প্যানেল, তা বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে এর মধ্যে অনেকেই যোগ্য ছিলেন। আদালত বলেছিল যে, এই যোগ্য চাকরিহারাদের সুযোগ করে দিতে হবে। আর সেই সুযোগ করে দিতে গিয়ে এসএসসি গোটা প্রক্রিয়াটাকে আবার গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেই অভিযোগ। যেখানে যোগ্য চাকরিহারাদের পাশাপাশি যারা নয়া চাকরি প্রার্থী, তাদের কাছ থেকেও টাকা নিয়ে, পরীক্ষার ফি নিয়ে তাদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল এসএসসির পক্ষ থেকে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত যে, যেখানে এসএসসিকে বলা হয়েছিল, যারা যোগ্য চাকরিহারা ২০১৬ সালের, তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করার, সেক্ষেত্রে কেন নয়া চাকরি প্রার্থীদেরও এই নিয়োগে একসাথে যুক্ত করে দেওয়া হলো? আর আদালতের তোলা এই প্রশ্নে এখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে এসএসসি। গোটা মামলাটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন পর রাজ্যে এসএসসি হওয়ার পরেও যে বেকারদের কোনো সুরাহা হবে না এবং যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার এই শেষ এসএসসিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ ৬৫০ টাকা করে নিয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে পরিবর্তন সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি এবং এসএসসি নিয়ে তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকুজিতে চাকরি দেওয়ার কথা লেখা নেই। তিনি চাকরি দেবেন না। ২ কোটি ১৫ লক্ষ বেকার। শেষ এসএসসি হয়েছিল ২০১৫ তে। এবারে চোরগুলো ধরা পড়ার পরে মাননীয় অভিজিৎ গাঙ্গুলি ধরেছিলেন। ২৬ হাজারের মধ্যে ৬, ৭ হাজারের চাকরি গেল। বাকি ১৯ হাজার যোগ্য শিক্ষকের চাকরি খেলো এই মমতা ব্যানার্জি। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে পরীক্ষা হলো। কত টাকা করে নিলেন বেকারদের কাছ থেকে? ৬৫০ টাকা করে এক্সাম ফি।”