প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- উৎসবের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিএসটি সাশ্রয়ের ঘোষণা করেছেন। যার ফলে ব্যাপক খুশি মধ্যবিত্তরা। এর ফলে যে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘোষণা করতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলার চেষ্টা করছেন যে, রাজ্য সরকারকে এর জন্য টাকা দিতে হয়েছে এবং এই কাজের জন্য কেন্দ্রের কোনো ক্রেডিট নেই, পুরোটাই ক্রেডিট রাজ্য সরকারের। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কেন্দ্র এত বড় পদক্ষেপ নেওয়ায় সকলেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, তখন ঘাবড়ে গিয়ে যে তিনি নিজে ক্রেডিট নেওয়ার একটা চেষ্টা করছেন, তা বুঝতে বাকি নেই বিজেপির কাছে। তাই এবার পাল্টা এতই যখন জনদরদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে তিনি পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে রাজ্য যে ট্যাক্স নেয়, সেটা নেওয়া বন্ধ করুন বলেই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশবাসী উৎসবের মরশুমের আগে কেন্দ্রের ঘোষণায় রীতিমত উচ্ছ্বাসে ভাসতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মানুষের জন্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন সকলেই। জিএসটির এই নতুন ঘোষণার ফলে উপকৃত হবে মধ্যবিত্ত মানুষ। প্রচুর জিনিসের দাম কমতে চলেছে। আর তার মধ্যেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন, এই ক্রেডিট নাকি একমাত্র রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকার নাকি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এবার পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই কাজ করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
নবদ্বীপের সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে দাবি করেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পেট্রোল ডিজেল এবং গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে যে ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা তুলে নিন। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যে পেট্রোল, ডিজেলের দাম ১০ থেকে ১২ টাকা করে কম। তাহলে তিনি মানুষের সুবিধার্থে পেট্রোল, ডিজেল এবং গ্যাসের সিলিন্ডারের ওপর রাজ্যের যে ট্যাক্স, তা তুলে নিন। তাহলে মানুষ অনেকটাই উপকৃত হবে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো ক্রেডিট নিচ্ছেন যে, তিনিই এই জিএসটি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আবার অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী এই খুশির খবর ঘোষণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবে মানুষ উপকৃত হচ্ছে ঠিকই। তবে অনেকের মধ্যেই এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে যে, এই পদক্ষেপ নেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা কার রয়েছে? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যদি এই পদক্ষেপ নিয়ে থাকবেন, তাহলে তিনি আরও একটা মানুষের ভালোর জন্য পদক্ষেপ নিয়ে দেখান। এক্ষেত্রে রাজ্য গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে শুরু করে পেট্রোল-ডিজেলের ওপর যে ট্যাক্স বসিয়েছে, সেই ট্যাক্স তার সরকার যদি তুলে নেয়, তাহলেই মানুষ বুঝতে পারবে যে, তিনি কতটা জনদরদী। তাই শুভেন্দু অধিকারী সেই বক্তব্য রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।