প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
একসময় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তিনি আর সেই অতীতের আন্দোলনকে মনে রাখেননি। বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগ করতে দেখা যায় বিরোধীদের। তবে রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং বিপক্ষে থাকলেও মানুষের রং বদল করতে হয় না। যারা বিপদের দিনে পাশে ছিলেন, তাদের পাশেই থাকতে হয় রাজনৈতিক নেতাদের। ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষদের একবিন্দুও মনে রাখেননি। বিজেপিতে যোগদান করার পর সেই অভিযোগ বারবার করে তুলে ধরেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ তিনি যে অতীতের আন্দোলনকে ভুলে যাননি, তার আরও একবার প্রমাণ দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, আজকের দিনেই এক সময়ে নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। রক্তাক্ত সূর্যোদয় হয়েছিল নন্দীগ্রামে। তৃণমূলে থাকুন আর বিজেপিতে, প্রত্যেকবার আজকের দিনেই সেই শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ আবারও একেবারে সাত সকালে যখন অনেকেরই ঘুম ভাঙ্গেনি, ঠিক তখনই সেই শহীদ বেদীতে মাল্যদান করতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই শুভেন্দু অধিকারীর ইউএসপি। এই জন্যই তিনি মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছেন। অনেকেই এই নন্দীগ্রামের আন্দোলনের পর শহীদদেরকে ব্যবহার করতে রাজনৈতিক তুরূপের তাস খেলেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর আত্মার আত্মীয় এই সমস্ত শহীদরা। তাই অনেকে সেই নন্দীগ্রামের রক্তাক্ত সূর্যোদয়ের ঘটনা ভুলে গেলেও, শুভেন্দু অধিকারী তা ভোলেননি এবং তিনি যে এই সমস্ত মানুষদের এখনও মনে রেখেছেন, তা আজ শীতের সকালে তার সেই নন্দীগ্রামে পৌঁছে যাওয়া এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানানোর মধ্যে দিয়েই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।