প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করতেন যে, পুলিশ দিয়ে তাদের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। তবে শাসক দলের পক্ষ থেকে কেউই সে কথা স্বীকার করেন না। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে যখন ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের, যখন তিনি দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিদ্রোহী মন্তব্য করছেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা চর্চা হয়ে শুরু হয়েছে যে, এবার সেই হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে রাজ্যের শাসক দল। তিনি যেভাবে বেলাগাম মন্তব্য করছেন, তাতে তাকে সাসপেন্ড করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে তাকে সাসপেন্ড করলেও যে তিনি তার অবস্থান থেকে সরে আসবেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। শুধু তাই নয়, তাকে দল সাসপেন্ড করার পর তার বিরুদ্ধে যদি কোনো থানার কোনো পুলিশ মিথ্যে মামলা শুরু করে এবং মিথ্যে কেস দেয়, তাহলে তিনিও যে সেই সমস্ত পুলিশ প্রশাসনকে চক্কর কাটাবেন এবং শেষ দেখে ছাড়বেন, সেই ব্যাপারে আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক।

বলা বাহুল্য, বর্তমানে দলের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি খুব ভালোমতই জানেন যে, দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে। আর সেটা জেনে তিনি এমনটাও আশঙ্কা করছেন যে, যেভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করা হয়, ঠিক একইভাবে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেওয়ার পর এই মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল নেতারা, যাদের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ রয়েছে, সেই তৃণমূল নেতাদের কথা শুনে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে। তাই পুলিশকে আগে ভাগেই সতর্ক করে দিলেন বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। মুর্শিদাবাদের নেতাদের কথা শুনে যদি তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো অ্যাকশন নেয়, তাহলে তিনি সেই থানায় গিয়ে অনশনে বসে পড়বেন বলেও জানিয়ে দিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক।

এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, “এখানকার প্রশাসনকে আমি সম্মান দিয়ে বলছি, ওই অপূর্ব সরকারের চামচাগিরি করছে করুক। কিন্তু যে সমস্ত প্রশাসন হুমায়ুন কবীরের ল্যাজে পা দেবে, বিনা কারণে হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে কেস করবে, একদম সেই থানায় গিয়ে অনশনে বসে পড়ব। আর এদের কাহিনীর কথা, কুলের কথা মাইকে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বলব।”