প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহার নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল বিরোধী জোট। এমন পরিস্থিতিও তারা তৈরি করে দিয়েছিল যে, এনডিএ জোট নাকি বিহারের ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। এমনকি তারা ক্ষমতা দখলের ধারে কাছে পর্যন্ত যেতে পারবে না। বিরোধী নেতাদের কথা শুনে অনেকে তা বিশ্বাসও করে নিয়েছিলেন। অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন যে, তাহলে কি বিহারে এবার সত্যিই ক্ষমতা দখল করবে বিরোধী মহাজোট? কিন্তু রাজনীতিতে সবসময় মুখের কথায় এবং কল্পনায় বিশ্বাস করতে নেই। এতদিন ধরে চুপ থাকলেও যে রেকর্ড জয়ে বিহার পেয়ে গেল এনডিএ শিবির, যেভাবে তাদের দাপট দেখালো একক গরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপি, তাতে সেই জয়ের সেলিব্রেশনে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দিতে দিল্লিতে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছে গিয়েই চমক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আজ বিহারের নির্বাচনী ফলাফলের দিকে গোটা দেশের নজর ছিল। আর সেখানেই সমস্ত জল্পনা, কল্পনা, এক্সিট পোল সব কিছুকে পেছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করে ফেলেছে এনডিএ শিবির। এমনকি বিজেপিও একক গরিষ্ঠ দল হিসেবে যথেষ্ট ভালো ফলাফল করেছে। এতদিন ধরে বিরোধী নেতারা প্রচারে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন। বিজেপিকে কটাক্ষ করে, এনডিএকে কটাক্ষ করে অনেক কথা শুনিয়েছিলেন। কিন্তু সমালোচকদের জবাব যে কাজের মধ্যে দিয়েই দিতে হয়, আজ আবার তা প্রমাণ হয়ে গেল। বিহারে বিজেপি তথা এনডিএর এই অভূতপূর্ব ফলাফলের মধ্যে দিয়ে যেখানে এই ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেই কিছুক্ষণ আগে দিল্লিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় উপস্থিত হয়ে রীতিমত উত্তরীয় ঘুরিয়ে নিজের দাপট দেখালেন প্রধানমন্ত্রী। বুঝিয়ে দিলেন, তাদের রাজনৈতিক শক্তির কাছে কার্যতো ফিকে হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা।

কিছুক্ষণ আগেই বিহারের এই নির্বাচনী ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা কর্মীদের বার্তা দিতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে উত্তরীয় পড়িয়ে বরণ করা হয় তাকে। আর তারপরেই এই জয়ের উচ্ছ্বাসে এক অন্য মুডে ধরা দেন প্রধানমন্ত্রী। অতীতে তাকে এইরকম মুডে কোনোদিনও দেখতে পাওয়া যায়নি। আজ সেই উত্তরীয় খুলে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তা ঘুরিয়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের উৎসাহ দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। আর প্রধানমন্ত্রীকে, নিজেদের দলের আইকনকে এই মুডে দেখে আবেগ, উৎসাহ, উদ্দীপনায় ফুটছে গেরুয়া শিবিরের প্রত্যেকটি নেতা কর্মীরা। আর প্রধানমন্ত্রী আজ জিম উঠে ধরা দিলেন, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, তিনি বিহারের এই ফলাফলে শুধু খুশি বললে ভুল হবে। তিনি আনন্দের থেকেও, বেশি আনন্দিত। আর প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে সকলেই বলছেন, মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়।