প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল সংসদে একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বন্দেমাতরম সঙ্গীতের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপনে যে আলোচনা হয়েছিল, সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে একবার “বঙ্কিমদা” বলে সম্বোধন করেছিলেন। আর সেই বিষয়টি নিয়েই প্রবল আপত্তি শুরু করেন। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলতে শুরু করেন যে, এটা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মত মনীষীকে অপমান। কি করে তাকে দাদা বলে সম্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী? কেন তাকে “বঙ্কিমবাবু” বলে সম্বোধন করা হবে না? পরবর্তীতে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী “বঙ্কিমবাবু” বলেই সম্বোধন করেন। তবে এই গোটা বিষয়টিকে নিয়ে এখন তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় দাবি করতে শুরু করেছে যে, বিজেপি বাংলা বিরোধী, তার আরও একটা প্রমাণ নরেন্দ্র মোদী দিয়ে দিলেন। তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে “বঙ্কিমদা” বলে সম্বোধন করে প্রবল অপমান করেছেন। তবে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে তৃণমূল যখন বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে, যখন নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপিকে বাংলা বিরোধী বলার চেষ্টা করছে, তখন পাল্টা তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চাপে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল সংসদে হইচই পড়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি শব্দ প্রয়োগের মাধ্যমে। যেখানে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত বন্দেমাতরম সংগীতের ১৫০ তম বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সংসদে আলোচনার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে “বঙ্কিমদা” বলে সম্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেই বিষয় নিয়েই তেড়েফুঁড়ে ময়দানে নেমে তৃণমূল এখন বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করতে শুরু করেছে। একটাই কথা বলছে যে, বিজেপি হচ্ছে বাংলা বিরোধী, তার আরও একটা প্রমাণ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে এইভাবে অপমান। তবে বন্দেমাতরম সংগীতের যে ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন হচ্ছে, সেটা যদি কেউ মহাসমারোহে পালন করে থাকে, তাহলে সেটা কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি সরকার করছে। কিন্তু যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলার কৃতি, সেখানে তার এত বড় গৌরবের বিষয়ে কেন রাজ্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই? তারা কেন কিছু উদযাপন করছে না? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বঙ্কিমদা শব্দ প্রয়োগ করেছেন এবং যেভাবে তৃণমূল তা নিয়ে আপত্তি করছে, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “বঙ্কিমদা শব্দটাও শ্রদ্ধাশুলভ। সিনিয়রকে, বড় দাদাকে বলতেই পারে। পশ্চিমবঙ্গে দাদা, বোন, দিদি এগুলো চলে। সেই হিসেবে হয়ত বলেছেন। বঙ্কিমবাবু অ্যাপ্রোপিয়েট। আর মোদীজি এবং কেন্দ্রীয় সরকার বন্দেমাতরমকে নিয়ে যে উদ্যোগ প্রথম দিন থেকে নিয়েছেন, এই উদ্যোগ তো রাজ্য সরকার নেয়নি। রাজ্য সরকার এবং তার লোকেরা সমালোচনা কেন করছেন? বন্দেমাতরমের যেদিন সার্ধশতবর্ষ, সেদিনই মমতা ব্যানার্জি এবং তাদের নির্দেশিত ওই রাজ্য সঙ্গীতটা গাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা জারি করলেন কেন? এটা দিয়ে কি সম্মান জানানো হয়? আপনি বিরোধী দলনেতাকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাড়িতে ঢুকতে তো দিলেনই না। উল্টে গোটা রাস্তাটা খুঁড়ে রেখেছিলেন। সুতরাং যিনি করতে চাইছেন, যারা করতে চাইছেন, তাদের এই ধরনের সমালোচনা করছেন কেন?”