প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের বহু নেতা মন্ত্রীর নাম জড়িয়েছে। বিশেষ করে শাসকদলের অনেক নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এখনও জেলের মধ্যে রয়েছেন। বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মধ্যে সবথেকে বেশি যিনি চাপে রয়েছেন, তিনি হলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। ইতিমধ্যেই তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তারা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পর্যন্ত জমা পড়েছে। যেখানে একাধিক অভিযোগ রয়েছে চন্দ্রনাথ সিনহার বিরুদ্ধে। আগামী শনিবার সেই চন্দ্রনাথ সিনহাকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার যে আবেদন করেছিল, তার ভিত্তিতে মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেখানে তিনি আদৌ জামিন পাবেন, নাকি শ্রীঘরে যাবেন, সেটা সময় বলবে। তবে আজ নিজের বক্তব্য জানাতে হবে রাজ্যের কারামন্ত্রীকে।
আর এই সমস্ত কিছু দেখেই একাংশ বলছেন যে, বর্তমানে মহা ফাঁপড়ে পড়ে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। ইডির পক্ষ থেকে চার্জশিটে তার বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য জমা করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে যে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার এখনও কোনো সদুত্তর পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রী এমনিতেই চাপে রয়েছেন। আর আজ আদালতের নির্দেশে তাকে নিজের বক্তব্য জানাতেই হবে। স্বাভাবিকভাবেই আজকের পর তার বক্তব্য জানানোর আর কোনো সুযোগ নেই। তাই তিনি আদালতের কাছে নিজের কি বক্তব্য পেশ করবেন, তা অবশ্যই সকলের কাছেই লক্ষ্যণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন, মন্ত্রীর কাছে বাঁচার আর কোনো উপায় নেই। যে পরিমান দুর্নীতি তিনি করেছেন, তাতে তাকে এবার শ্রীঘরে যেতেই হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকের দিনটি চন্দ্রনাথ সিনহার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তার কাছে আজ নিজের বক্তব্য তুলে ধরার দিন। তাই তিনি ইডির বিশেষ আদালতে নিশ্চিত করেই নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন এবং এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত তথ্য সামনে এনেছে, তাকে খন্ডন করতে তিনি কতটা জোরালো যুক্তি উপস্থাপিত করবেন, তার দিকে অবশ্যই সকলের নজর থাকবে। আর সবশেষে আগামী শনিবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চন্দ্রনাথ সিনহার কি ভবিষ্যৎ হয়, তা নিয়ে নির্দেশ দেবে আদালত। তাই তার আগে আজ রাজ্যের কারামন্ত্রীর পক্ষ থেকে ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগে নিজের বক্তব্য জানানোর যে সুযোগ রয়েছে, তার কতটা সদ্ব্যবহার তিনি করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।