প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এই রাজ্যের সরকারের মানবতা নিয়ে এমনিতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে তার মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য আরও বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা দাবি করছে যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে মহিলাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে দিতে পারেন? কি করে তিনি বলতে পারেন যে, মহিলারা রাতে বের হতে পারবেন না? এর ফলেই তো প্রমাণ হয়ে যায় যে, এই রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বলে কিছু নেই। অন্তত বিরোধীদের পক্ষ থেকে তেমনই কটাক্ষ আসছে। আর তার মাঝেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আরও একবার এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সকলকে জোট বেঁধে যাতে বর্তমান সরকারকে বিদায় দেওয়া যায়, তার জন্য আহ্বান জানালেন।
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য। দিকে দিকে প্রতিবাদ হচ্ছে। রাজ্যের নারী নিরাপত্তার অভাবের বিষয়টি তুলে ধরে যতক্ষণ এই রাজ্যে তৃণমূল আছে, ততক্ষণ কোনো মহিলার নিরাপত্তা নিশ্চিত নয় বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর তার মাঝেই গতকাল বিজেপির একটি কর্মসূচিতে যুক্ত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথেই এক মহিলার সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সকলকে জোট বেঁধে এই রাজ্যের বর্তমান সরকারকে যাতে তাড়ানো যায়, তার জন্য আবেদন জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। আরও একবার তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, এই রাজ্যে যতক্ষণ তৃণমূল সরকার এবং মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী আছে, ততক্ষণ কোনো মহিলার সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না।
এদিন মেদিনীপুরে বিজেপির একটি কর্মসূচিতে যুক্ত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে এক মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আপনি তো সাংবাদিক, আপনি তো বোন। মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ মন্ত্রী বলছেন, রাতে বেরোবে না। কোন রাজ্যে বসবাস করছেন, সবাই দেখুন। সবাই জোট বাঁধুন। এদের তাড়াতে হবে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এমনিতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা বড় অংশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। আর দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পর এবার মহিলাদের সুরক্ষা যেভাবে রাজ্যের অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে, তাতে সেই মা-বোনেদেরও একত্রিত হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।