প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পুলিশের পক্ষ থেকে কোন রুট দিয়ে শোভাযাত্রা হবে, তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। সেই মত তাতে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন আয়োজকরা। কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের দেওয়া রুটকে উপেক্ষা করে শোভাযাত্রা অন্যপথে নিয়ে যাওয়া হলেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। আর তার ফলেই সেই শোভাযাত্রা আটকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে করা হলো লাঠিচার্জ। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত মহরমের শোভাযাত্রায় তৈরি হলো রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি। কিন্তু হঠাৎ কি এমন হলো, যার জন্য লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হলো পুলিশ? আর কোথায়ই বা মহররমের শোভাযাত্রায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, মহরম উপলক্ষে উজ্জয়িনীর বেগমবাগ এলাকায় একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়। আগেভাগেই ঠিক হয়েছিল, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে তারা সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন যে, এই শোভাযাত্রা ঋজুরওয়ালি মসজিদ থেকে নিকাশ চৌরাহা পর্যন্ত যাবে। কিন্তু যারা এই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ছিলেন, তারা যে রুটে সম্মতি প্রকাশ করেছিলেন, তা ভেঙে অন্যদিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আর তার ফলেই পুলিশের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের বাধা দিতে গেলে তারা ব্যারিকেড ভেঙ্গে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করে। আর তারপরেই পরিস্থিতিকে শান্ত করতে লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এই শোভাযাত্রার উদ্যোক্তা ইরফান খানের বিরুদ্ধে। পুলিশের পক্ষ থেকেও দায়ের করা হয়েছে মামলা। এদিন এই ব্যাপারে উজ্জয়িনীর এসপি বলেন, “গত ১০ দিনে একাধিক বৈঠকে রুট নিয়ে ঐক্যমত্য হয়েছিল। সবাই লিখিতভাবে সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও শোভাযাত্রা ঘোরানোর চেষ্টা করা হয় এবং ব্যারিকেড ভাঙ্গা হয়। এতে দুজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে হালকা বলপ্রয়োগ করতে হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের সনাক্ত করা হচ্ছে। দ্রুত সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, পুলিশের সঙ্গে যখন সম্মতি প্রকাশ করেই এই মহরমের শোভাযাত্রা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা, তখন কেন তারা পরবর্তীতে নির্দিষ্ট রুটের পরিবর্তে অন্য রুটে যাওয়ার চেষ্টা করলেন? তাহলে পুলিশ যখন তাদের সঙ্গে আলোচনা করলো, তখন তারা তাদের প্রস্তাব কেন রাখতে পারলেন না? মহরমের দিন, শোভাযাত্রার দিন পুলিশের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে উদ্যোক্তাদের এই ধরনের আচরণ তো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক! তাই যারা আইন ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে, তাদের কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন সকলে।