প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন বাংলা ও বাঙালিকে বিজেপি শাসিত রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন, ঠিক তখনই গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে ঝাড়গ্রামে তার বাংলা ও বাঙালিকে হেনস্থার প্রতিবাদে যে মিছিল হচ্ছিল, সেই মিছিলের রাস্তায় তিনি নিজের গলা থেকে খুলে দেওয়া একটা উত্তরীয় এক পুলিশকর্মীর মাধ্যম দিয়ে বিদ্যাসাগরের গলায় পরিয়ে দিয়েছেন। আর সেই ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দুবাবু দাবি করেছেন যে, এটা শুধু বাঙালির অপমান তাই নয়, স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত মনীষীকে মুখ্যমন্ত্রী অবমাননা করেছেন। আর আজ প্রকাশ্য সভা থেকে সেই ব্যাপারে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকালই নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী একটি ভিডিও পোস্ট করেন। আর যে ভিডিও গিরে রীতিমত হইচই পড়ে যায় সকলের মধ্যেই। প্রশ্ন তৈরি হয় যে, এটাই কি মুখ্যমন্ত্রীর বাঙালি প্রেম? যেখানে তিনি একজন মনীষীর জন্য নতুন উত্তরীয় ব্যবস্থা না করে নিজের গলার উত্তরীয় তার গলায় পরিয়ে দিয়ে নিজেকে খুব মহান করতে চাইছেন? বাংলার মনীষীকে এইভাবে অপমান করে মুখ্যমন্ত্রী কি বোঝাতে চাইছেন? আর সেই সমস্ত প্রশ্নই ঘাটালের সভা থেকে তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে আরও বড় চাপের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যখন মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ও বাঙালি প্রেম দেখাচ্ছেন, তখন শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেই মনে করছেন একাংশ।
ঘাটালের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গতকাল ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী নিজের গলার উত্তরীয় খুলে এক পুলিশ কর্মীর মাধ্যমে তা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের গলায় পরিয়ে দিয়েছেন। শৈলেশ উপাধ্যায় আইসি ঝাড়গ্রামের হাত দিয়ে তিনি পড়িয়ে দিয়েছেন। আপনি ক্ষমা চান মমতা ব্যানার্জি। আপনি কে হরিদাস?”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদম সঠিক সময় সঠিক ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মোক্ষম রাজনৈতিক আক্রমণ করে বসলেন। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বাঙালি প্রেম নিয়ে কথা বলছেন, এত বাংলার সাহিত্য বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই একেবারে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যিনি বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন, তিনি কতটা সংস্কৃতি প্রিয় এবং কতটা বাংলার মনীষীদের সম্মান করেন, তা নিয়েই উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন। যেখানে সরাসরি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর যে আচরণ, তার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন শুভেন্দু অধিকারী।