প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সোচ্চার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বারবার করে তিনি দাবি করছেন যে, শুধুমাত্র জেরা, তল্লাশিতেই আটকে থাকলে হবে না। এবার বাংলার যারা চুরি, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের জেলযাত্রা দেখতে চায় মানুষ। আর এর মাঝেই গতকাল ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে যায় রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে এর আগেও তার বাড়িতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশি চলেছে। গতকাল আবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে তার অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আর সেই ব্যাপারেই মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার, তবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিলেন।

বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন ধরেই এই রাজ্যের বুকে নানা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তাদের তদন্তের ঢিলেঢালা গতি নিয়ে অনেকের মধ্যেই হতাশা তৈরি হয়েছে। এমনকি বিজেপি নেতারাও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না সেই তদন্ত নিয়ে। তারা একটাই কথা বলছেন যে, জেরা, তল্লাশি অনেক হয়েছে। এবার রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হোক। আর তার মাঝেই গতকাল যখন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা, তখন তাদের এই পদ্ধতি অনেকের কাছে খুশির কারণ হলেও, অনেকের কাছেই হতাশা এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলেই মনে হয়েছে। তবে সুজিত বসু পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন যেভাবে দুর্নীতি করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এখন যে তদন্ত চলছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাপ বাপকেও ছাড়ে না বলেই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন এই ব্যাপারে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “১৭ টি পৌরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল, এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফিনান্স অফিসার, আর ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে রাকেট। সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে বাড়ির দুজন শালিকাকে চাকরি দিয়েছে কামারহাটি পৌরসভায়। পাপ বাপকেও ছাড়ে না। এর সঙ্গে ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা করছে, তারা বলতে পারবে। আমরা যা জানি, বলে দিলাম। সবাই জানে, এরা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর মত পৌরসভার চাকরি, দমকলের চাকরি বিক্রি করেছে, এটা সবাই জানে। গোটা দুনিয়া এটা জানে।”