প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গত বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যে আন্দোলন হয়েছিল, তারপর দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলেন একটা বড় অংশ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। এমনকি এখনও পর্যন্ত তিনি ভারতে আছেন বলেই জানা যাচ্ছে। আর আজ সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আদালত। স্বাভাবিক ভাবেই সকলের নজর ছিল যে, এবার বাংলাদেশের যে অন্তর্বর্তী সরকার রয়েছে, যে ইউনূসের সরকার রয়েছে, যারা প্রতিমুহূর্তে চাইছিলেন, শেখ হাসিনাকে জব্দ করতে, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে? অবশেষে রায় ঘোষণার পরেই সেই অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন জানানো হলো।

বলা বাহুল্য, গত বছরের জুলাই এবং আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ভয়াবহ আন্দোলন হয়।‌ অন্যায় ভাবে তৎকালীন সরকার এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাসুত করার একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় একটা বড় অংশ বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সেই বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সরকারের পক্ষ থেকেও বল প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন স্বয়ং শেখ হাসিনা। তবে সেই আন্দোলনে যারা প্রাণ হারান, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলা হয়। আর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে বাংলাদেশ আদালত। তবে তিনি তো বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, তিনি ভারতে আছেন। তাহলে তাকে কিভাবে শাস্তি দেওয়া হবে? তবে ইউনুসের যে কূটনৈতিক বুদ্ধি, শেখ হাসিনাকে সরানোর নেপথ্যে যে তারও একটা চক্রান্ত ছিল, তা এতদিনে অনেকের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই সেই ইউনুসড় যে শেখ হাসিনাকে একেবারে জব্দ করার জন্য, তার সরকারকে দিয়ে, তার প্রশাসনকে দিয়ে ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে যাতে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তার আবেদন জানাবেন, সেই রকম একটি চর্চা বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছিল। অবশেষে রায় ঘোষণা হওয়ার পরেই সেই কাজই করতে দেখা গেল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী কালীন সরকারকে।

এদিন বাংলাদেশ আদালতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়। আর তারপরেই শেখ হাসিনাকে যাতে বাংলাদেশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে ভারতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, “হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানকে আশ্রয় দেওয়া অবন্ধুসুলভ আচরণ। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফিরিয়ে না দিলে ন্যায় বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী হাসিনা এবং আসাদুজ্জামানকে হস্তান্তর করা উচিত।” স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশ যখন ভারতের কাছে এই আর্জি নিয়ে এসেছে, তখন ভারতের কি পদক্ষেপ হবে? তারা কি হাসিনাকে তুলে দেবে বাংলাদেশের হাতে! সেদিকেই নজর গোটা আন্তর্জাতিক মহলের।