প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বা তাদের নেতা-নেত্রী এবং সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী যখন সাংবাদিক সম্মেলন করেন, তখন তার সামনে তার পছন্দমত প্রশ্ন করতে দেখা যায় সাংবাদিকদের। দুই একটি সংবাদ মাধ্যম চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করার সাহস দেখালেও, তাদেরকে সেভাবে সেই সাংবাদিক সম্মেলনে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। আর যারা মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দমত প্রশ্ন করেন, শুধুমাত্র তাদের প্রশ্নই গ্রহণ করা হয়। তবে বিরোধীদের কাছে যখন সেই সমস্ত সাংবাদিকরাই রাজ্য সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে যে, ক্ষমতায় আছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সমস্ত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করার সাহস দেখাতে পারছেন না? কেন বিরোধী নেতাদের কাছে তারা প্রশ্ন করছেন? তাহলে কি গোপনে গোপনে কোনো এজেন্ডা রয়েছে! তারা মুখ্যমন্ত্রীকে চটাতে চান না জন্যই, মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন হয়ে থাকতে চান জন্যেই তার চোখে চোখ রেখে অপ্রিয় প্রশ্ন করার সাহস দেখাতে পারেন না? আর এবার সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সেই বিষয়টিই তুলে ধরলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

প্রসঙ্গত, গতকাল বন্দেমাতরমের ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গোটা দেশজুড়ে তো বটেই পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে সেই রকম কোনো কর্মসূচি পালন করা না হলেও উল্টে তারা সেই দিনকেই বেছে নিয়ে সেদিন থেকে বিদ্যালয়ে রাজ্য সংগীত বাধ্যতামূলকভাবে গাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন একটা দিনকে কেন তৃণমূল সরকার বেছে নিলো, যেদিন বন্দেমাতরমের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি উদযাপন হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর সেই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই তিনি পাল্টা বুঝিয়ে দিলেন যে, এই সমস্ত প্রশ্ন কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করা হয় না?

এদিন বন্দেমাতরমের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিজেপির সল্টলেকের অফিসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই সাংবাদিকরা আজকের এই দিনটিতে কেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন না করে বিদ্যালয়ে রাজ্য সংগীত গাওয়ার ব্যাপারে বাধ্যতামূলক সার্কুলার জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে শমীকবাবুকে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই প্রশ্নটা আপনারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে করুন। আমার খুব আশ্চর্য লাগে, এই ধরনের কঠিন প্রশ্ন, যে প্রশ্নের উত্তরটা আপনারা আমাদের কাছে জানতে চান, মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রশ্নগুলো করা হয় না। এর উত্তর উনি দিতে পারবেন। আর ওনার সমস্ত কার্যকলাপ যা চলেছে, তার প্রত্যেকটা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার বা বিরোধিতা করার আমরা কোনো প্রয়োজন মনে করছি না।”