প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে হিন্দুরা সুরক্ষিত নয়। বিভিন্ন জায়গায় মালদহ থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, এমনকি মহেশতলার মত এলাকাতেও হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার হচ্ছে বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ হয়েছিল, তাতে রীতিমত বেশ কিছুদিন আগেইষ হিংসা শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শামশেরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এমনকি আদালতের পক্ষ থেকেও নির্দেশ দেওয়া হয়, যারা হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় আজ পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাদের। আর সেই বিষয় নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই রাজ্য সরকারকে রীতিমত ধুয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যে মুসলিম লিগ টু-এর সরকার চলছে বলে কটাক্ষ করলেন তিনি।

এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথাতে মাঝেমধ্যেই উঠে আসে, মালদহ, মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের কথা। যখনই তিনি হিন্দুদের জন্য কোনো আন্দোলনে নামেন, কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি সংগঠিত করেন, তখনই যে সমস্ত কথা তিনি বলেন, তার মধ্যে অবশ্যই থাকে মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে যে হিংসা হয়েছিল, সেই হিংসার উল্লেখ। যেখানে হিন্দুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে আদালতের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশের পরেও কেন রাজ্য সরকার তা পূরণ করেনি, আজ তা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন ওঠে। আর সেই বিষয় নিয়েই পাঁশকুড়ায় শুভেন্দু অধিকারী যে কর্মসূচিতে ছিলেন, সেখানে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর তার উত্তর দিতে গিয়ে আরও বড় মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীকে নির্যাতনের বিরুদ্ধে পথে নামে বিজেপি। যে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। আর সেখানেই সাংবাদিকরা কলকাতা হাইকোর্টের আজকের যে পর্যবেক্ষণ, মুর্শিদাবাদের হিংসায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের এখনও পর্যন্ত রাজ্য যে ক্ষতিপূরণ দেয়নি, তা নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওদের তো পুনর্বাসন দেবে না। কারণ ওরা তো হিন্দু। এখানে তো মুসলিম লিগ টু-এর সরকার চলছে।” অর্থাৎ এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, আদালতে নির্দেশ হয়ত রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্য ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। তার একটাই কারণ, কারণ, যাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তারা হিন্দু। আর এই রাজ্যের সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করতে গিয়ে রাজ্যের হিন্দুদের সর্বনাশ করছে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।