প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে গণতন্ত্র বলে যে কিছু নেই, তা সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে ত্রাণ কার্যে যাওয়া দুই জনপ্রতিনিধির ওপর হামলার ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে ঘটনার পর আশা করা হয়েছিল যে, পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যে চারজনকে তারা গ্রেফতার করেছে, তা শুধুমাত্র লোক দেখানো বলেই দাবি করছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে, কেন এখনও তাদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ? তাই পুলিশের এই নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধেই এবার বিচারব্যবস্থার ওপর ভরসা রেখে আইনি পথেই যা করার তা করা হবে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বলা বাহুল্য, গত লক্ষ্মীপুজোর দিন নাগরাকাটায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। কিন্তু সেখানে তাদের ওপর ব্যাপক ভাবে হামলা করা হয়। রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ। গোটা ঘটনায় বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট পর্যন্ত করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। কিন্তু এই রাজ্যের পুলিশ যে আইনের শাসন সুরক্ষিত করতে জানে না, যারা হামলা করেছে, তাদের আড়াল করে শুধুমাত্র লোক দেখানো গ্রেফতারি যে করতে শুরু করেছে প্রশাসন, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই কি করে এবার নাগরাকাটায় যারা মূল অভিযুক্ত, তাদের জব্দ করা যায়, কি করে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, তা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পুলিশ কাজ করেনি ৭২ ঘণ্টায়। এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে, তারা গ্রেপ্তার হয়নি। সেই জন্য যেখানে গেলে গ্রেপ্তার হয়, তার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছাড়াছাড়ির কোনো ব্যাপার নেই। আইনি পথেই বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমরা যা করার করব।” অর্থাৎ পুলিশ যদি নিষ্ক্রিয়তা দেখায়, তাহলে বিচার ব্যবস্থার ওপরেই যে ভরসা রাখছে বিজেপি, তা উল্লেখ করে নাগরাকাটার ঘটনায় যারা প্রকৃত অভিযুক্ত, তাদের শায়েস্তা করার জন্যই যে শেষ পর্যন্ত লড়াই হবে, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।