প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যখন বন্যা বিপর্যয় শুরু হয়েছিল, তখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল সমস্ত রাজনৈতিক দল। বিজেপির পক্ষ থেকেও খগেন মুর্মু এবং শঙ্কর ঘোষ আর্ত মানুষের কাছে ত্রাণ দেওয়ার জন্য পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা হামলার স্বীকার হন। রীতিমত রক্তাক্ত হতে হয় উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদকে। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। পরবর্তীতে আবার সেই নাগরাকাটায় গিয়ে ত্রাণ বিলি করেছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে যেভাবে এই বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কের ওপর হামলা হয়েছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ প্রতিবাদে গর্জে উঠলো গেরুয়া শিবির। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে মালদহে একটি মিছিল করা হলো। যে মিছিলে শামিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

সম্প্রতি নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মুকে। যার ফলে একজন আদিবাসী সাংসদের সঙ্গে কি করে এই ঘটনা ঘটানো হলো, কারা এই ঘটনা ঘটালো, তা নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল বিজেপি। এমনকি যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদের সুর আরও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে, তাও বুঝিয়ে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই মতই আজ মালদহে বিজেপি সাংসদ এবং বিজেপি বিধায়কের ওপর কিছুদিন আগে নাগরাকাটায় যে হামলা হয়েছিলহ তার পরিপ্রেক্ষিতে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হলো। যেখানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি এই প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে রাজ্যের শাসক শিবিরকে বার্তা দিতে চাইছে। কেননা নাগরাকাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে যদি বিজেপি সেভাবে আওয়াজ না তোলে, তাহলে রাজ্যের প্রত্যেকটি জায়গায় তৃণমূল এইভাবেই হিংসাত্মক রাজনীতির আশ্রয় নেবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে না তুললে রাজ্যের শাসক দল আরও বেশি সাহস পেয়ে যাবে। এমনটাই মনে করেছিলেন একাংশ। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কর্মীদের মনোবলকে চাঙ্গা করে আজ মালদহের নাগরাকাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদ করে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির এই মিছিল রাজ্যের শাসক শিবিরকে যথেষ্ট চাপে রাখবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।