প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি এই রাজ্যে উত্তরবঙ্গের ত্রাণকার্যে সামিল হতে গিয়ে যেভাবে বিজেপির একজন সাংসদ রক্তাক্ত হয়েছেন, যেভাবে একজন বিধায়ক আক্রান্ত হয়েছেন, তা প্রমাণ করে দেয় যে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এর আগেও এই রাজ্যের বুকে বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনের শাসনের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সম্প্রতি এই ঘটনা যাওয়া ঘটনার পর কেউ আর চুপ করে থাকতে পারছে না। সকলেই দাবি করছেন যে, এবার এই সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রের। পাশাপাশি দলগতভাবে বিজেপি কিভাবে এই হামলার ঘটনার মোকাবিলা করবে, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন চর্চা চলছে। আর তার মাঝেই আজ পশ্চিমবঙ্গে এসে সেই নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির এই রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকেও এসেছে প্রতিক্রিয়া। বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে মোটেই খুশি নয়, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে যে, বিজেপি কেন এখনও চুপ করে বসে আছে? কেন তারা তৃণমূলের এই সমস্ত হামলার মোকাবিলা করতে পারছে না? তৃণমূলকে সবক শেখানোর মত রাজনৈতিক কৌশল তারা কবে গ্রহণ করবে? আর তার মাঝেই আজ পশ্চিমবঙ্গে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে এসে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন পশ্চিমবঙ্গে দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এই রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক বিপ্লব দেব। যেখানে নাগরাকাটার ঘটনা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। বাংলায় কিভাবে কি চলছে, কতটা আইনের শাসন রয়েছে, সেই সম্পর্কে সবাই অবগত। কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র মুখে বলে লাভ হবে না। কাজে করে দেখাতে হবে বিজেপি নেতৃত্বকে। তৃণমূল যেভাবে একতরফা হামলা করতে শুরু করেছে, যেভাবে তাদের জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে নীচুতলার কর্মীদের মনোবল কিন্তু ভাঙতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলকে যদি পাল্টা ধাক্কা দেওয়া না যায়, তাহলে ২৬ এর নির্বাচনে কর্মীদের সেই উন্মাদনা পাবে না বিজেপি নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র মুখের কথায় নয়, প্রকৃত অর্থেই কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বিজেপি নেতৃত্বকে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।