প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে আরজিকরের পর ঘটে গিয়েছে আরও এক ভয়াবহ ঘটনা। ওড়িশার এক মেয়ে বাংলায় পড়তে এসেছিলেন। কিন্তু দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সেই তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যে ঘটনার পর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত মানবতা রূপ নিয়ে সেই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে যাওয়ার সময় পাননি। এমনকি তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার মত মানবতা দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্তত তেমনটাই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। তবে যে রাজ্যের মেয়ে, সেই ওড়িশা সরকার প্রথম থেকেই তৎপর ছিল। আর এবার নিজের রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই নারী নির্যাতনের ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো পদক্ষেপ না নিলেও, নিজের ঘরের মেয়ে যেভাবে অন্য রাজ্যে গিয়ে নির্যাতিতা হয়েছেন, সেই ব্যাপারে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ গ্রহণ করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি।
ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরেই বেসরকারি মেডিকেল কলেজের যে তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তার পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিল ওড়িশা সরকার। অথচ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার রাজ্যে ঘটে যাওয়া এত বড় ঘটনার পরেও সেই নির্যাতিতার পরিবারকে একটা ফোন পর্যন্ত করেননি। কিন্তু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তার পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান এবং তাদের সঙ্গে দেখা করেন। আর এবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি সেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার চিকিৎসা থেকে শুরু করে পরবর্তীতে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে তার যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্য পাশে দাঁড়ালেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
আর এই খবর সামনে আসার পরেই একাংশ বলছেন যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তো একটু হলেও মানবতার রূপ দেখিয়ে সেই পরিবারের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। তার রাজ্যেই তো এত বড় ঘটনা ঘটেছে। তাহলে তো তিনি যেহেতু রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, সেহেতু তার এগিয়ে আসা উচিত ছিল। কিন্তু তিনি এরকম কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে ওড়িশার মেয়ে হওয়ার কারণে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাশে সব রকম ভাবে থাকার আশ্বাস দিলেন। তাই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্তত ওড়িশা সরকারের এই মানবিক পদক্ষেপ দেখে কিছুটা হলেও শিক্ষা নিন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।