প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি নেপালে দেখা গিয়েছে জনতার রোষ কিভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আছড়ে পড়েছে। যার ফলে জনতার বিক্ষোভে রীতিমত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন একের পর এক মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে সেই নেপাল সেনার অধীনে চলে গিয়েছে। আর নেপালের অরাজক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে যেভাবে জনতা বিক্ষোভ করেছে, সেই রকমই বাংলাতেও গণ অভ্যুত্থান প্রয়োজন বলে সম্পত্তির মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। আর তার সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার পাল্টা পথে নামলো তৃণমূল। যেখানে অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অর্জুন সিংহ নেপালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গেও যেভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, যেভাবে স্বজনপোষণ হচ্ছে, যেভাবে মানুষের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে জনতার প্রবল জনজাগরণ প্রয়োজন। এই রাজ্যেও সরকারের বিরুদ্ধে একটা গণ অভ্যুত্থান প্রয়োজন। আর অর্জুনবাবুর সেই মন্তব্যকে খুব একটা ভালো মত মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল। তৃণমূলের বক্তব্য, অর্জুন সিংহ এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাংলায় অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে শুধু দাবি করেই থেমে থাকছে না তৃণমূল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এখন তৃণমূল আরও বেশি করে অর্জুন সিংহকে চাপে রাখার কৌশল পেয়ে গেল। তৃণমূল এখন একটা দাবি করতে শুরু করেছে যে, অর্জুন সিংহ হিংসাত্মক আন্দোলনের কথা বলছেন। নেপালের মতই পশ্চিমবঙ্গে যাতে অরাজক পরিস্থিতি হয়, তার জন্য তিনি উস্কানি দিচ্ছেন, তাই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এই বক্তব্যকে সামনে রেখে এখন তৃণমূল অর্জুন সিংহের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই মামলা দিয়ে তাকে বিপর্যস্ত করার কৌশল বেছে নিলো বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।