প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধের প্রতিবাদে নেপালে শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। গতকাল যুব সমাজের বিক্ষোভ ভয়ংকর আকার ধারণ করে। আর যত সময় যাচ্ছে, ততই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। বর্তমান সরকার যে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে অপারগ এবং একের পর এক মন্ত্রীরা যেভাবে পদত্যাগ করছেন, তাতে নেপালের এই সরকারের পতন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে। আর তার মধ্যেই যখন একের পর এক মন্ত্রীদের বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে অগ্নি সংযোগ করার মত ঘটনা ঘটছে, ঠিক তখনই বড় সিদ্ধান্ত নিলো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, এদিন নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতি কারণে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আজ থেকে নেপালে আর কোনোমতেই বিমান পরিষেবা চলবে না। স্বাভাবিকভাবেই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কারণে পরিস্থিতি যে অত্যন্ত জটিল হয়ে যাচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ করণের প্রতিবাদে নেপাল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়ত হচ্ছে। কিন্তু এছাড়াও একাধিক বিষয় রয়েছে জনতার মনের মধ্যে। আর সেই কারণেই তারা সরকারের বিরুদ্ধে এই অগ্নিগর্ভ প্রতিবাদের সামিল হয়েছেন। যতক্ষণ না এই সরকারের পতন হচ্ছে, ততক্ষণ যে তারা তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভ থেকে সরে আসবেন না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই যেভাবে নেপাল উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, তাতে বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই বাধ্য হয়েই তারা কাঠমান্ডুতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।