প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কি হিংসার রাজনীতি শুরু হয়ে গেল এই বাংলায়? বারবার করে বিরোধীরা দাবি করছে যে, বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করা প্রয়োজন। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েঈ করতে হবে নির্বাচন। আর তার মধ্যেই এবার নির্বাচনের আগে যখন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি, ঠিক তখনই কোচবিহারে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। যেখানে বিজেপির দুটি পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হলো। আর এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে।

বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা আক্রান্ত হচ্ছে। বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাদের মিছিল মিটিং করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এমনকি প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মিথ্যে মামলা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিজেপি। আর এবার কোচবিহারের নাটাবাড়িতে বিজেপির দুটি পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হলো। আর এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে গেরুয়া শিবির।‌ তাদের বক্তব্য, রাতের অন্ধকারে মদ্যপ দুষ্কৃতীদের দিয়ে এই কাজ করিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। আসলে তারা নির্বাচনের আগে ভয় পেয়েছে। সেই কারণে বিজেপির পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।

যদিও বা বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, বিজেপি নেতারাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জর্জরিত। তাদেরই একটি গোষ্ঠীর এই ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা মিথ্যে অভিযোগ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বদনাম করার চেষ্টা করছে। তবে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যে নির্বাচনের আগে যেভাবে বিরোধীদলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলো, তাতে কোচবিহারে হিংসার পরিবেশ নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কায় আমজনতা।