প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। তবে এসআইআর প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব রয়েছে বুথ লেভেল অফিসারদের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বিএলওদের ভূমিকা নিয়ে। কেননা বেশিরভাগ জায়গাতেই বিএলওরা তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর তাই বিএলওরা যদি নিরপেক্ষ না থাকেন, তাহলে কি করে গোটা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। আর তার মধ্যেই এবার বিএলওদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বড় মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বুকে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইয়ার প্রক্রিয়া। তবে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ জায়গাতে বিএলওরা তৃণমূলের চাপের কাছে মাথা নত করে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য যে, বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে এনুমারেশন ফর্ম বিল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বুথ লেভেল অফিসাররা যদি নিরপেক্ষতা সহকারে কাজ না করেন, তাহলে কি এসআইআর প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে পারে? এই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠছে। আর তার মাঝেই এবার সেই বিএলওদের নিরপেক্ষতা নিয়েই আরও বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন বিএলওদের ভূমিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বিএলওদের বহু জায়গায় পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে বসানো হচ্ছে। বিএলওরা তাদের এনুমারেশন ফর্ম তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। কি করবে বেচারা? প্রোটেকশন দেওয়ার কেউ নেই। আমি তো বলেছিলাম, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে। পুলিশের দম নেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কিছু করবে। আমি তো চোখের সামনে দেখলাম, আমার সামনে পুলিশ মার খাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের গায়ে হাত তোলার কারও ক্ষমতা নেই। আমরা ক্ষমতায় এসে সব ঠিক করে দেব। চিন্তা নেই।”