প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ অভয়ার পরিবারের ডাকে শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযান ছিল। কিন্তু সেই নবান্ন অভিযানকে আটকাতে পুলিশের চেষ্টার কমতি ছিল না। এমনকি অভয়ার মা পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন। যিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। যে সমস্ত সাধু, সন্তুরা এই প্রতিবাদে অংশ নিতে গিয়েছিলেন, তাদের ওপরেও আক্রমণ নেমে এসেছে। যা দেখে সকলেই এই সরকার এবং তার পুলিশকে ধিক্কার জানাচ্ছেন। তাদের একটাই বক্তব্য যে, কেউ তো নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে নবান্ন দখল করতে যাচ্ছে না। তাদের শুধু প্রতিবাদ জানানোটাই উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু সেখানেও পুলিশের এই বাধা কেন? আর এসবের মধ্যেই পুলিশের এই স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য একটি হিন্দু বিরোধী সরকার আছে বলে দাবি করেছেন। মহেশতলা থেকে শুরু করে মালদহ, মুর্শিদাবাদের ঘটনার পর এই রাজ্যে হিন্দুরা অত্যাচারের শিকার বলে বারবার গর্জে উঠেছেন তিনি। আর আজ নবান্ন অভিযানেও সাধু সন্তরা অংশ নেওয়ার পর তারাও যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে নিজের ক্ষোভ আর চেপে রাখতে পারেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এদিন অভয়ার মাকে দেখতে হাসপাতালে যান শুভেন্দুবাবু। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। আর সেখানেই বর্তমান রাজ্য সরকারকে হিন্দু বিরোধী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
শুভেন্দুবাবু বলেন, “আপনারা আমাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করছেন কেন! আমি তো লাঠি নিয়ে যাইনি। বরঞ্চ লাঠির আঘাত খেয়েছি। এই রাজ্যে হিন্দু বিরোধী সরকার আছে, তার জন্যই সাধু সন্তরাও আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, আজকে অভয়ার মায়ের শাঁখা-পলা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যে পুরোপুরি একটা হিন্দু বিরোধী সরকার রয়েছে।”