প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। আর সেই এসআইআরের আতঙ্কে যে তৃণমূল ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে, তাতে এক প্রকার নিশ্চিত বিজেপি। পানিহাটির প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার পরেই তৃণমূল ময়দানে নেমেছে। গতকাল সেই মৃতের বাড়িতে গিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন যে, সুইসাইড নোটে এনআরসির কথা লেখা রয়েছে। আর সেই আতঙ্কেই এই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, প্রদীপ কর নামে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। ফলে তার এই ধরনের আতঙ্কে আত্মহত্যা করার কোনো কারণ নেই, তৃণমূল মিথ্যে কথা বলছে। আর এসবের মধ্যেই প্রদীপ করের মৃত্যুর পর তার যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে এবং সেখানে এনআরসি শব্দটি যেভাবে লেখা রয়েছে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সেটা এনআরসি নয়, লেখা ছিল এনআরআই। বিকৃত করা হয়েছে সেই লেখাকে, যাতে বিজেপিকে বদনাম করা যায়। আর এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যখন নানা মহলে চর্চা চলছে, ঠিক তখনই গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ইতিমধ্যেই এসআইআর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে, তাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক এক নেতা, এক এক ধরনের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। তারা বলছেন যে, একজন বৈধ ভোটারেরও নাম বাদ গেলে, দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর নাকি ঘেরাও করা হবে। তবে তৃণমূলের চোখে কারা বৈধ, সেটা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল আসলে অবৈধ ভোটারদের বৈধ বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আর এসবের মধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য গতকাল পানিহাটির প্রদীপ করের মৃত্যুর পরেই একটি সুইসাইড নোট সামনে নিয়ে এসে এনআরসির আতঙ্কে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। আর সেই সুইসাইড নোট সামনে আসার পরেই এবার পাল্টা বড় দাবি করে বসলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।
এদিন প্রদীপ করের এই সুইসাইড নোটের বিষয়টি নিয়ে সুকান্ত বাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অদ্ভুত যুক্তি। যে যুক্তির আমরা কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। উনি বলছেন, এই ব্যক্তি এসআইআর বা এনআরসির আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, যে ব্যক্তির ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে, তার তো এই বিষয়ে চিন্তা থাকার কথা নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যারা এসআইআর নিয়ে লোককে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন, উত্তেজক মন্তব্য করেছেন, স্বাভাবিকভাবেই এই যে মিথ্যে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, সেই ভয়ের বাতাবরণের দ্বারাও, এই আত্মহত্যা সংগঠিত হলো কিনা, সেটাও ভালো করে দেখা উচিত।”