প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুদের কার্যত একত্রিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যের বুকে হিন্দু সম্প্রদায় এবং সনাতনী সম্প্রদায়কে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করছেন তিনি। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে অমান্য করে মহালয়ার আগেই পূজা উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন, তাকে হাতিয়ার করেও হিন্দুদের সামনে বিজেপি এই যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এভাবেই হিন্দু শাস্ত্রকে অমান্য করেন। তাই নিজের ধর্মকে রক্ষা করার জন্য হিন্দুদের একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু শেষ দুর্গাপুজো, তাই সেই পুজোয় জনসংযোগকে হাতিয়ার করে এনআরসির বিরুদ্ধে যাতে প্রচার চালানো যায় এবং বিজেপিকে চাপে ফেলা যায়, তার জন্য প্রত্যেকটি পুজো মন্ডপে এনআরসির বিরুদ্ধে যে গান, তা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি সেই নির্দেশ দিলেও, পাল্টা তাকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য জুড়ে যে সমস্ত পুজো মণ্ডপ রয়েছে, সেখানে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করার বিভিন্ন মাধ্যম বেছে নিচ্ছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী। যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বিজেপির বিরুদ্ধে যাতে প্রচার চালানো যায়, তার জন্য এনআরসি নিয়ে যে গান, তা যাতে পুজো মণ্ডপে বাজানো যায়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। তবে কোনো পূজো মণ্ডপ এই গান বাজাবে না এবং যারা বাজাবে, তারা হিন্দু নয় বলেই জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিন সাংবাদিকরা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন যে, এনআরসির বিরুদ্ধে যে গান, সেই গান মন্ডপে মন্ডপে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর সেই ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “কোনো হিন্দু বাজাবে না। কোনো হিন্দু বাজাবে না। আর যারা বাজাবে, তাদের আমি মনে করি, তারা অরিজিনাল হিন্দু নন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে অবৈধ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারী এই রাজ্য এবং দেশের কোথাও কোথাও লুকিয়ে রয়েছে, তাতে তাদের বিতাড়িত করার জন্য এনআরসি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সেক্ষেত্রে সেই এনআরসির বিরুদ্ধেই মুখ্যমন্ত্রী মন্ডপে মন্ডপে গান বাজানোর নির্দেশ দিলেও প্রকৃত যারা হিন্দু, তারা কোনোমতেই তা হয়তো মেনে নেবেন না। সেই কথাই তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। উল্টে শাসকের চাপের কাছে মাথা নত করে কেউ যদি এই গান বাজায়, তাহলেও যে সেই ব্যক্তিরা প্রকৃত হিন্দু নন, সেকথাও বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।