প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল এতটাই আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে যে, এখন যেখানে খুশি, যা খুশি তারা বলতে শুরু করেছে। পানিহাটিতে আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয়েছে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তির। আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল একটি সুইসাইড নোটকে সামনে এনে দাবি করছে যে, এনআরসির আতঙ্কেই এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তবে অনেকে বলছেন যে, যার মৃত্যু হয়েছে, তিনি তো ঠিকমতো লিখতে পারেন না। কারণ তার হাতের আঙুল নেই। স্বাভাবিকভাবেই তিনি এই সুইসাইড নোট কি করে লিখলেন? তবে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সেই মৃতের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসির আতঙ্কে এই ব্যক্তির প্রাণ চলে গেল বলে দাবি করেছেন, তখন তৃণমূলের এই প্রচারকে একেবারে সর্বেব মিথ্যা বলে দাবি করে পাল্টা যুক্তি সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। আর এই এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল এতটাই ভীত হয়ে পড়েছে যে, নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংবিধানিক সংস্থাকে তারা বিজেপির কথামত চলছে বলে দাবি করছেন। কারণ বিরোধীদের দাবি যে, তৃণমূল খুব ভালো মত জানে, এসআই আর শুরু হলে অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর অবৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে তাদের আর ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে না। সেই কারণেই তাদের এই এসআইআর বিরোধীতা। আর এসবের মাঝেই পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পরেই যে সুইসাইড নোট সামনে এসেছে। তাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল এসআইআরের বিরোধিতা করার পাশাপাশি এনআরসির আতঙ্কে এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। সোচ্চার হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে যে বিষয় নিয়ে তৃণমূল এত লাফালাফি করছে এবং বিজেপিকে আক্রমণ করছে, তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, তার নাম ছিল বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওটা একটা ফল্স সার্টিফিকেট দিয়েছে। ওনার তো ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নাম ছিল। এসব ক্ষেত্রে সিএএ বা এনআরসির কোনো গল্প নেই। সব মিথ্যার ওপর দাঁড়িয়ে আছে।” আর শুভেন্দু বাবুর এই বক্তব্যের পরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তাহলে তো এক্ষেত্রে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করার কোনো কারন এসআইআর বা এনআরসি হতে পারে না। তৃণমূল বলছে যে, এই ব্যক্তি এনআরসির আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু যে ব্যক্তির নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে আছে, তার তো আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। শুভেন্দু অধিকারী তো সেই তথ্য ফাঁস করে দিলেন। তাহলে তৃণমূল এই প্রদীপ করের মৃত্যু নিয়ে কি রাজনীতি করছে? প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।