প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যারাই রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন, যারা হিন্দু সনাতনী, তারা সকলেই উৎকণ্ঠার মধ্যে ছিলেন। যেভাবে সৌমিক গোলদার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে, যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে, যেভাবে এই রাজ্যের পুলিশ সুযোগ পেয়ে এই তিন হিন্দু সনাতনীকে আটকে রেখেছে, তাদের শেষ পর্যন্ত কি তাদের জামিন হবে? কেননা তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা যে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, একটা ভিত্তিহীন অভিযোগকে সামনে এনে তাদের ফাঁসানোর যে চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বিরোধীরা। তাই শেষ পর্যন্ত আদালত কি নির্দেশ দেয়, তার দিকে সকলেই তাকিয়ে ছিলেন। অবশেষে বিরাট জয় পাওয়া গেল। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের সমস্ত কৌশলকে কার্যত খারিজ করে দিয়ে জামিন পেয়ে গেলেন চিকেন প্যাটিস কাণ্ডে যাদেরকে অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল, সেই সৌমিক গোলদার, তরুণ ভট্টাচার্য এবং স্বর্ণেন্দু চক্রবর্তীরা। যার ফলে গোটা হিন্দু সনাতনী সমাজ ব্যাপকভাবে উচ্ছ্বসিত।

সম্প্রতি কলকাতায় ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ৫ লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ হয়েছিল‌। তবে সেই হিন্দুত্বের যে ঐক্যবদ্ধ রূপ, তা দেখে যে অনেকেই ভয় পেয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পরবর্তীতে একটি বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অনেক টিভি চ্যানেলে খবর প্রকাশিত হয় যে, সেই গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে নাকি এক চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধর করা হয়েছে। আর সেই কারণে সৌমিক গোলদার সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে ময়দান থানার পুলিশ। তবে সেই চিকেন পেটিস বিক্রেতাকে মারধর করার কারণ দেখিয়ে এই তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও, আসল কারণ যে, সেটা নয় সেই সম্পর্কে অনেকেই সোচ্চার হয়েছিলেন। কেননা অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, যে ব্যক্তি সেখানে চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছিলেন, তিনি প্রথমে বলেছিলেন, সেটা ভেজ প্যাটিস। পরবর্তীতে তা খুলে দেখা যায় যে, সেখানে চিকেন রয়েছে। তাহলে প্রথমে কেন তিনি স্বীকার করলেন না যে, সেখানে চিকেন ছিলো! তাহলে তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করার চেষ্টা করছিলেন? আর দ্বিতীয়ত, গীতা পাঠের মত পবিত্র অনুষ্ঠানে হিন্দু সনাতনীরা যে চিকেন খাবেন না, সেটা তিনি খুব ভালো মতই জানতেন। তারপরেও তিনি সেখানে তা বিক্রি করছিলেন। কিন্তু যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, এতে চিকেন রয়েছে কিনা, তখন তিনি তা অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে যখন তা খুলে দেখা হয়, তখন দেখা যায় যে, সেখানে চিকেন রয়েছে। আর তাতেই হিন্দু সনাতনীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে। আর এই সত্যিটাকে ঢেকে যারা শুধুমাত্র সেই চিকেন প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধর করা হয়েছে বলে খবর রটাতে শুরু করেছিলেন, তারা ভেবেছিলেন যে, এই তিন হিন্দু সনাতনীকে আটকে রেখে, তাদের মুখ বন্ধ করে বাকিদের চাপে ফেলা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত বলে যে একটি জায়গা আছে, এই রাজ্যে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে, মিথ্যে মামলা দিয়ে যে সবাইকে মুখ বন্ধ করে রাখা যাবে না, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।

আজ সকাল থেকেই সকল হিন্দু সনাতনীদের নজর ছিল আদালতের দিকে। যেভাবে সৌমিক গোলদার সহ তিন জনকে মিথ্যে অভিযোগ তুলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাতে সকলেই ভাবছিলেন যে, একজন হিন্দু হয়ে আর একজন হিন্দুর পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধুমাত্র এই রাজ্যের পুলিশ বেছে বেছে হিন্দুদের সঙ্গে যে অত্যাচার করছে, তা আটকানোর জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এমনটাই দাবি করতে শুরু করেছিলেন হিন্দু সনাতনীরা। অবশেষে আদালত থেকে পাওয়া গেল ন্যায় বিচার। গ্রেপ্তার করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মুক্তি পেয়ে গেলেন সৌমিক গোলদার, তরুণ ভট্টাচার্য এবং স্বর্ণেন্দু চক্রবর্তীরা। যেখানে ব্যাঙ্কশাল আদালতের পক্ষ থেকে তাদের ১০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত পুলিশ এই তিন হিন্দু সনাতনীকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করলেও, যেভাবে আজ আবার আদালতে তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গেল, তাতে কবে হুশ ফিরবে এই প্রশাসনের, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা।