প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সাম্প্রতিককালে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল নেপাল। আর নেপালের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে চিন্তায় ছিল ভারত। নেপাল-ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় এর প্রভাব পড়বে না তো, তা নিয়ে সীমান্তের নিরাপত্তারক্ষীরা রীতিমত সতর্কতা অবলম্বন করেছিলেন। তবে অবশেষে গতকাল রাতে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কারকি। আর সেই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বলা বাহুল্য, নেপালে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে একটাই প্রশ্ন সকলের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল যে, কবে সেই পরিস্থিতি শান্ত হবে? কবে নেপালের দায়িত্বে বসবেন একজন ব্যক্তি! যিনি পরিস্থিতি সামলাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন! তবে অবশেষে দীর্ঘ জল্পনার পর গতকাল রাতে নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীল কারকি। আর তারপরেই নেপাল তো বটেই, এমনকি পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতেও আশার আলো তৈরি হয়েছে যে, এবার হয়ত নেপালের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে।
এদিন নেপালের অন্তর্বর্তী কালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি লেখেন, “নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি মাননীয়া শ্রীমতি সুশীলা কারকিকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। নেপালের ভাইবোনেদের শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির জন্য ভারত সম্পূর্ণ রূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপাল ভারতের একদম পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে যদি কোনোরূপ অশান্তির সৃষ্টি হয়, তাহলে ভারতেও তার প্রভাব পড়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অবশেষে নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকি দায়িত্ব নেওয়ার পর নেপাল আরও শান্ত এবং সমৃদ্ধিপূর্ণ হয়ে উঠুক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।