প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সকলের নজর ছিল বাংলাদেশের আদালতের দিকে। কারণ সেখানে দীর্ঘদিন ধরে গত ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যে বিক্ষোভ হয়েছিল এবং সেখানে যেভাবে প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতেই শুনানি হয়। বারবার করে এই ঘটনায় উঠে আসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা। অবশেষে আজ সেই রায়দান দিতে গিয়ে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনালো বাংলাদেশ আদালত। যে খবরে রীতিমত হতাশ আওয়ামী লীগের সদস্য থেকে শুরু করে অনুগামীরা।

বলা বাহুল্য, গত ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বাংলাদেশে প্রবল বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। যেখানে বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে তৎকালীন সরকার বলপ্রয়োগ করে বলে অভিযোগ তোলেন একাংশ। পরবর্তীতে পরিস্থিতি এতটাই আয়ত্তের বাইরে চলে যায় যে, সেই বিক্ষোভের কাছে মাথা নত করে বাংলাদেশ ছাড়তে হয় শেখ হাসিনাকে। এখনও পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের বাইরেই রয়েছেন। তবে সেই সময় যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং যত মানুষ আহত হয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতেই তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়। অবশেষে আজ সেই রায়দান হওয়ার কথা ছিল। আর সেই রায়দান করতে গিয়েই শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনালো আদালত।

জানা গিয়েছে, এদিন শেখ হাসিনা সহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে বাংলাদেশ আদালত। যেখানে দুটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। একইভাবে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। এমনকি তাদের দুজনের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি শেখ হাসিনা যে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় আইজির দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লা আল মামুনকেও পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতের এই কড়া নির্দেশ রীতিমত হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের কাছে।