প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তার দলের নেতা-নেত্রীরা, এমনকি সরকারের অনেক আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা অনেক বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন। বিরোধীদের কোনো কর্মসূচি আটকানো থেকে শুরু করে নবান্ন অভিযান আটকানোর দিন অতি সক্রিয় থাকতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু রাজ্যে আজ এক ভয়ঙ্কর ঘটনার তথ্য সামনে এসেছে। যেখানে দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে হয়ে গিয়েছে ভয়াবহ ঘটনা। কিন্তু তারপরেও কেন নীরব এই রাজ্যের প্রশাসন? কেন এখনও পর্যন্ত যারা কথায় কথায় প্রেস কনফারেন্স করেন, তাদের মুখ থেকে কিছু শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না? এবার সেই বিষয়েই প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই আজ দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে গোটা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সকলেই প্রতিবাদ করতে শুরু করেছেন। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আমলে কেন বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তবে অন্য সময় যখন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী কথায় কথায় প্রেস কনফারেন্স করেন, সাংবাদিক বৈঠক করেন, এক্ষেত্রে তারা নীরব কেন? অভয়ার মা-বাবার ডাকে যেদিন নবান্ন অভিযান হয়েছিল, তার আগে পুলিশ প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা নজরে এসেছিল। এমনকি হয়েছিল সাংবাদিক বৈঠকও। কিন্তু এখন কেন সেই রকম কোনো বৈঠক হচ্ছে না, প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেন কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে না? সেই প্রশ্নও তো সমানভাবে ওঠার কথা। আর সেই কথাই সাংবাদিক বৈঠকে তুলে ধরে রাজ্য সরকারকে রীতিমত চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিরোধী দলনেতা।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই রাজ্যে যেভাবে আবার নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চান তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “দুটো ছাত্রীর ক্ষেত্রে, একটি এমবিবিএস ছাত্রী, আর একটা স্কুলের ছাত্রী। মুখ্যমন্ত্রী, তার পুলিশ, কথায় কথায় যারা প্রেস কনফারেন্স করেন, সুপ্রতিম সরকার, জাভেদ শামিম, এরা কোথায়? এক্ষেত্রে নীরব কেন সরকার, ভারতীয় জনতা পার্টি জানতে চায়। বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন করতে চায়, পুলিশ তথা মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে।”