প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা সব সময় কেন্দ্রের ঘাড়ে দায় চাপান। যখন এসআইআরের ফলে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, রাজ্যে এতদিন কত অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। তখন কথায় কথায় তৃণমূল নেতারা বলতে শুরু করেছেন যে, রাজ্যে অনুপ্রবেশ যদি হয়ে থাকে, তাহলে তার জন্য দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ সীমান্ত রক্ষা করে বিএসএফ। তাই তারা কেন সঠিকভাবে নজরদারি করতে পারেনি? আজ সংসদেও সেই কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে একাধিক বক্তব্য রেখেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছেন, নেত্রীর সুরে সুর মিলিয়ে বলেছেন যে, অনুপ্রবেশ হলে সেটা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়। আর কল্যাণবাবুর এই কথার পরেই পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহল।
আজ সংসদের অধিবেশনে কেন্দ্রকে আক্রমণের পাশাপাশি এসআইআর নিয়ে নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কে নাগরিক এবং কে নাগরিক না, এটা ঠিক করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয় বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি বিহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিহারে এসআইআর করার পর কোনো অনুপ্রবেশকারী কি ধরা পড়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। তবে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, যেখানে প্রচুর অবৈধ ভোটার এবং বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্তে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে, পশ্চিমবঙ্গে তো তাহলে এসআইআর করে দেখা যাচ্ছে যে, কত অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। এদিন বক্তব্যের মাঝখানে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে কৌশলে প্রধানমন্ত্রী এবং নরেন্দ্র মোদিকেই এই অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে দায়ী করেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনুপ্রবেশ হলে সেটা প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়।” আর এখানেই পাল্টা তৃণমূল সাংসদকে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সমস্ত দায় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে রাজনীতি করাই তৃণমূল নেত্রী এবং তার দলের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য জমি চাইছে। কিন্তু সেই কাজ করেনি রাজ্য সরকার। এমনকি তারা সহযোগিতা পর্যন্ত করেনি। ফলে এখন অনুপ্রবেশ হওয়ার কারণে তৃণমূলের যখন পর্দাফাঁস হয়েছে, তখন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে এবং নিজেদের মান বাচাতেই কেন্দ্রকে দোষারোপ। আসলে এসব মিথ্যাচারের রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয় বলেই খোঁচা পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।