প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ওপার বাংলায় যা হচ্ছে, এপার বাংলাতেও তাই চলছে। ওপার বাংলায় যেভাবে জামাতরা সর্বগ্রাসী মনোভাব নিয়ে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে, এপারেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে। এতদিন এই দাবিই করতে দেখা যেত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সম্প্রতি মালদহে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতা যেভাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের বঙ্গপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে ময়দানে নেমেছে বিজেপি। আজ বিজেপির পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে কলকাতার রাস্তায় রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়। রবি ঠাকুরের অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তারা। আর সেই কর্মসূচি থেকেই ওপার বাংলায় যেভাবে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে এপার বাংলাতেও এই অত্যাচার এবং বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করার প্রবণতা শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন তিনি। এক্ষেত্রে ওপার বাংলার মত এপার বাংলাও জামাতের হাতে চলে গিয়েছে বলে গর্জে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বলা বাহুল্য, এদিন চাচল এর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রবি ঠাকুরের অপমানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে বিজেপি. যেখানে আইসিসিআরে রবি ঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে প্রচুর সংস্কৃতি প্রেমী এবং বিজেপি নেতাকর্মীরা রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। আর তারপরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওপার বাংলায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে যা করছেন, এখানেও আপনারা তা অ্যালাও করছেন? এ তো জামাত। ওপার বাংলা, এপার বাংলা দুটোই জামাতের হাতে চলে গিয়েছে। যারা বাংলাদেশে জাতীয় সংগীত বদলাতে চায়, অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে চায়, এই বাংলায় তাদের হাত ধরে মালদহে ঢুকে পড়লো? মালদহ তো বাংলাদেশের বর্ডার। ছোঁয়াটা আগে লেগে গিয়েছে। কলকাতায় আসতে আর কতক্ষণ?”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঙ্গ প্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলার একটা বড় সুযোগ পেয়ে গেলেন। আরও বেশি করে ময়দানে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাপে ফেলার সুযোগ পেয়ে গেল বিজেপি। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বাংলা ও বাঙালি প্রেম নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে আন্দোলনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতার যে কাণ্ড সামনে এসেছে, তার ফলে এখন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের মতই পশ্চিমবঙ্গে রবি ঠাকুরের সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করে বসলেন শুভেন্দু অধিকারী। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়ে গেলেন তৃণমূল নেত্রী। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।