প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
নাগরাকাটায় ত্রাণ দিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, তার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এফআইআরে নাম থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেই অভিযোগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি দাবি করছে যে, এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে, তারা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষ। তারা তৃণমূলের ভোটব্যাংক, তাই তাদেরকে গ্রেপ্তার করবে না এই রাজ্যের পুলিশ। উল্টে লোক দেখাতে যাদের এফআইআরে নাম নেই, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে। আর এসবের মাঝেই এফআইআরে নাম থাকা সত্ত্বেও যাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি, তাদের বিরুদ্ধে দুলিয়ে দুলিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই হুংকার ছাড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
ইতিমধ্যেই নাগরাকাটায় যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে শুধু রাজ্য নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু যাদের এফআইআরের নাম রয়েছে, তাদের কেন গ্রেফতার করতে পারছে না পুলিশ, তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং পুলিশ প্রশাসনকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
এদিন এফআইআরে নাম থাকা ব্যক্তিদের কেন এখনও গ্রেফতার করা হয়নি, তা নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ওরা তো তৃণমূলের জামাই। ওরা কেন গ্রেপ্তার হবে? ওরা তৃণমূলের দুলাভাই। ওদের ব্যবস্থা করব আমরা। দুলিয়ে দুলিয়ে ব্যবস্থা করব। চিন্তা নেই।” অর্থাৎ আইনি পথেই যাদের এফআইআরে নাম রয়েছে, তাদের কি করে জব্দ করতে হয়, কি করে তাদের শায়েস্তা করতে হয়, তার স্ট্র্যাটেজিও যে তৈরি রয়েছে, তা ইঙ্গিতবাহী বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই বুঝিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।