rg
এই রাজ্যের শাসক দল গত বছর অভয়ার ঘটনা ঘটার পরেই যে সমস্ত সমাজের বিশিষ্ট মানুষরা পথে নেমেছিলেন, যে সমস্ত শিল্পীরা পথে নেমেছিলেন, তাদের টার্গেট করতে শুরু করেছিলেন। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে যারা রাস্তায় নামছেন, তারা কখনই এই সরকারের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। কারণ যাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, তারা তো কখনও সেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় হওয়া কোনো সরকারি অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন না। স্বাভাবিকভাবেই অভয়ার বিচারের দাবিতে শিল্পী সমাজের একটা অংশকে সুকৌশলে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়ার একটা চেষ্টা শাসক দলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছিল বলেই অভিযোগ। আরে এসবের মধ্যেই এবার অভয়ার মৃত্যুর এক বছরের দিনেও যখন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, যখন একেবারে সরকারের চোখে চোখ রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করেছিলেন, তিনি ঠিক সেই সময় সেই শ্রীলেখা মিত্রকে কি সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দেওয়া হলো? সুকৌশলে তার বাড়ির সামনে যে পোস্টার পড়তে দেখা গেল, তার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, এর পেছনে শাসকের চক্রান্ত নেই তো?
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে ঘটে গিয়েছে একটি বড় ঘটনা। অভয়ার বিচারের দাবিতে তিনি যখন রাস্তায় নেমেছেন, ঠিক তার মাঝেই তার বেহালার সোদপুরের বাড়ির সামনে একটি পোস্টার পড়েছে। যেখানে তাকে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেছেন অভিনেত্রী। আর এর পেছনে প্রধান কারণ, তিনি অভয়ার বিচারের দাবিতে মিছিলে হেঁটেছেন বলেই দাবি শ্রীলেখাদেবীর। ইতিমধ্যেই এই পোস্টার পড়ার ঘটনায় তিনি থানায় মেইল মারফত একটি অভিযোগও জানিয়েছেন বলে খবর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অভয়ার বিচারের দাবিতে নাগরিক সমাজ পথে নেমেছে। সেখানে কাউকে টার্গেট করে কি লাভ? আর বেছে বেছে এই টার্গেট কারা করছে! এর আগে অভয়ার মৃত্যুর পর যখন শিল্পী সমাজ পথে নেমেছিল, তাদের একাংশকে কে টার্গেট করেছিল? কারা তাদের সরকারি অনুষ্ঠান থেকে নাম কাটানোর চেষ্টা করেছিল? তাহলে যারা সেই সময় সেই চেষ্টা করেছিল, তারাই হয়ত এখন শ্রীলেখা মিত্রের বাড়ির সামনে এই ধরনের বয়কটের পোস্টার দিয়েছে। আর এর পেছনে সবথেকে বেশি শাসককের চক্রান্ত থাকতে পারে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।