প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
কাকুরগাছির নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুতে এতদিন ধরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বহু জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু আইনের মারপ্যাচ কাটিয়ে এখনও পর্যন্ত তার পরিবার সুবিচার পায়নি বলেই অভিযোগ। গত ২১ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিন পেয়ে যান তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল, কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষ। পরিবারের অভিযোগ, এরা যদি এইভাবে জামিন পেয়ে যায়, তাহলে সুবিচার হবে না। তাই এবার কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।
বলা বাহুল্য, গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের দিনেই প্রাণ হারান কাঁকুড়গাছির বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সক্রিয় সদস্য অভিজিৎ সরকার। আর সেই ঘটনাতেই অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে তাকে শ্বাসরোধ করে তার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেয়। যেখানে তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার ও পাপিয়া ঘোষের নাম ছিল। যার ফলে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি এরাই এই ঘটনার পেছনে জড়িত? তাহলে কি এবার এদের জেলযাত্রা দেখবে বঙ্গবাসী? তবে তাদের জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে। যার ফলে তারা জামিন পেয়ে যান। আর এবার তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছে গিয়েছে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার।
নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, সিবিআই অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। যার ফলে আজকে প্রকৃত দোষীরা জামিন পেয়ে গিয়েছে। তাই কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। কোনোভাবেই পরেশ পাল সহ আরও দুই কাউন্সিলর যারা রয়েছেন, তাদের বাইরে রাখা যাবে না। এরা যদি বাইরে থাকে, তাহলে আইনের প্রতি মানুষের আস্থা চলে যাবে এবং কোনোভাবেই তার ভাইয়ের মৃত্যুর সুবিচার হবে না। তাই পরেশ পাল, স্বপন সমাদ্দার এবং পাপিয়া ঘোষের জেল যাত্রা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই তারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। তাই এখন হাইকোর্ট যেভাবে এই তিন তৃণমূল নেতা নেত্রীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে, তার বিরুদ্ধে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পর শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে কি নির্দেশ আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।