প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আপনি হিন্দু হতে পারেন বা আপনি মুসলমান। কিন্তু আপনার কাছে আপনার দেশ সবার আগে। ধর্ম অবশ্যই আপনি যাপন করবেন।‌ ধর্ম নিয়ে অবশ্যই যে যার আচার পালন করবেন। কিন্তু দেশের যারা ক্ষতি করেছে, তাদের নিয়ে যদি দেশের মানুষরা নাচানাচি করেন, তাহলে তা সব থেকে বড় দেশবিরোধী কার্যকলাপ করে দাঁড়ায়। এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বাবরের নামে মসজিদের শিলান্যাস করলেন। আর সেখানে প্রচুর প্রচুর পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হলো। অথচ এই রাজ্য যখন কালী মূর্তি ভাঙ্গা হয়, এই রাজ্যে যখন জগদ্ধাত্রী মূর্তি ভাঙ্গা হয়, তখন পুলিশের সেই সক্রিয়তা চোখে পড়ে না। তখন যারা আসামী, তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে না পুলিশ। ফলে যে বাবর ভারতবর্ষের ক্ষতি করেছে, যে বাবর ভারতবর্ষকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে, যে বাবর ভারতবর্ষকে লুট করেছে, তার নামে মসজিদ হচ্ছে। অথচ তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কেন এই বাংলার মাটিতে? মসজিদ করা যেতেই পারে। কিন্তু বাবরের নামেই কেন মসজিদ হবে? এই সমস্ত প্রশ্ন বারবার তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ আরও একবার সেই প্রশ্ন তুলে মৌলবাদীদের আস্ফালনের পেছনে যে পুলিশের যথেষ্ট মদত রয়েছে এবং তাদের প্রশ্রয়েই যে বিধর্মীরা এত লাফালাফি করছে, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করার অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। তবে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, যেভাবে হুমায়ুন কবীর বাবরের নামে মসজিদ করেছেন, তা যথেষ্ট চিন্তাজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। হিন্দুদের কাছে মন্দির করা যেমন স্বাভাবিক বিষয়, তেমন সংখ্যালঘু মুসলিমরা মসজিদ করবেন, এটাও স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু বেছে বেছে যে বাবর ভারতবর্ষের ক্ষতি করেছে, তার নামেই কেন মসজিদ করতে হবে, সেই নিয়ে রাষ্ট্রবাদীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, তৃনমূলের যদি এতে আপত্তিই থাকবে, তাহলে কেন এত পুলিশ দিয়ে সেই মসজিদ শিলান্যাসের দিন সেখানে নিরাপত্তা দেওয়া হলো? তাহলে কি লোক দেখানো সাসপেন্ড করলেও, তলায় তলায় হুমায়ুন কবীরের এই কাজকে সমর্থন করছে এই রাজ্যের শাসক দল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর সেই বিষয়েই এবার সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমি তো বারবার বলেছি, যত খুশি ধর্মীয় স্থান করুন। হিন্দুরা মন্দির বানাবে, স্বাভাবিক। ইসলাম যারা মানেন, মসজিদ বানাবেন, স্বাভাবিক। খ্রিস্ট ধর্ম যারা মানেন, গির্জা, চার্চ বানাবেন, স্বাভাবিক। কিন্তু বাবর কে? বাবুর হানাদার। বাবর ধর্ষক। বাবর লুটেরা। বাবর হিন্দু মেয়েদের কেটেছে, হিন্দুদের কেটেছে। হিন্দু রাজাদের জমি, সম্পদ দখল করেছে। তিনি বহিরাগত ছিলেন, ভারতীয় ছিলেন না। তার নামে আজ পশ্চিমবাংলায় বীজ বপন হচ্ছে। মমতা ব্যানার্জির ১ হাজার পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। এই কারণেই তো মৌলবাদীদের আস্ফালন।”