প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-আরজিকরের পরে রাজ্যের বুকে ঘটে গিয়েছে আরও এক মর্মান্তিক ঘটনা। যেখানে পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি সংস্থার ফেসিলিটি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে প্রশ্ন উঠছে, সরকারি জায়গায় কেন বারবার করে মহিলারা নিরাপত্তাহীনতার শিকার হবেন? কেন বারবার তাদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে কিছু অংশের মানুষ? কেন প্রশাসন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারছে না? স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় বিরোধীরা যখন প্রতিবাদ করছে, তখন যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে রাজ্য। আর এই পরিস্থিতিতে এবার গোটা ঘটনায় সেই পাঁশকুড়ায় পৌঁছে গেল রাজ্য মহিলা কমিশন।

জানা গিয়েছে, গতকালই পাঁশকুড়ায় এই স্বাস্থ্যকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে পৌঁছে গিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশন। রাজ্য মহিলা কমিশনের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সেই পাঁশকুড়ায় এসে পৌঁছেছে। যেখানে গোটা ঘটনা তদন্ত করতেই তাদের এই পাঁশকুড়ায় আসা বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তারা যে মহিলা নির্যাতিত হয়েছেন, সেই মহিলার সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকি হাসপাতালের যিনি সুপার, তার সঙ্গেও কথা বলেছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। যেখানে নির্যাতিতা যে মহিলা, তার পাশে থাকার সব রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

তবে এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন যে, রাজ্য মহিলা কমিশন কি আদৌ কাজের কাজ কিছু করতে পারবে? এই রাজ্যে তো সবকিছুই হয় একজনের কথামত। যেখানে সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার ব্যবস্থাটুকু সরকার করতে পারে না, সেখানে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আর কি হবে? প্রথমে তো মহিলা কমিশনকে এই উত্তরটা দেওয়া উচিত যে, কেন সরকারি জায়গায় গিয়ে মহিলারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন? যেহেতু সরকারি জায়গায় মহিলারা অসম্মানিত হয়েছেন নির্যাতিত হয়েছেন তাই এবার যদি ক্ষমতা থাকে এবং মেরুদন্ড থাকে, তাহলে এই মহিলা কমিশনের সরকারের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। রাজ্যকেই প্রশ্ন করা উচিত যে, কেন সরকারি হাসপাতালের ভেতরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যার্থ তারা? কিন্তু সেই প্রশ্ন করার মত ক্ষমতা এই রাজ্য মহিলা কমিশনের হবে না। তাই তাদের এই পাঁশকুড়ায় আসা শুধুমাত্র লোক দেখানো বলেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা।