প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই বছরেও মহালয়ার আগেই কলকাতার একের পর এক পূজো মণ্ডপের উদ্বোধন শুরু করে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বা কলকাতায় তিনি একের পর এক পূজো মণ্ডপ যখন উদ্বোধন করেছিলেন, তখন তার মুখ থেকেই শোনা যাচ্ছিল যে, তিনি আজকে প্যান্ডেল উদ্বোধন করছেন। কিন্তু মহালয়ার আগে তিনি প্রতিমার উদ্বোধন করতে পারবেন না। তবে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে গেলে কি মুখ্যমন্ত্রীর খুব ক্ষতি ছিল? কেন এত তাড়াহুড়ো করে পিতৃপক্ষের মধ্যেই তাকে মন্ডপের উদ্বোধন করতে হবে! সেই প্রশ্ন বিরোধীরা তুলেছে। আর আজ কলকাতায় একটি পূজা উদ্বোধনে গিয়ে বৃষ্টির কারণে মুখ্যমন্ত্রী মাথায় যেভাবে তার চাদর জড়িয়েছেন, তা নিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দেওয়ার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের আচরণ করেছেন বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে হিজাব পড়ে মুখ্যমন্ত্রী পূজা উদ্বোধন করেছেন বলে অভিযোগ করলেন তিনি।

এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতায় একাধিক পুজো উদ্বোধন করতে দেখা যায়। যেখানে বৃষ্টি হওয়ার জন্য তিনি মাথায় চাদর জড়ান। আর সেটা নিয়েই এবার কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন পিতৃপক্ষের মধ্যে পূজা উদ্বোধন করলেন? আর কেনই বা তিনি মাথায় এইভাবে হিজাব পড়লেন? এর একটাই কারণ তিনি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিতে চাইছেন বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার।

এদিন পিতৃপক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পূজা উদ্বোধন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অত্যন্ত অন্যায় একটু আগেই অতীন ঘোষের একটি পুজোতে গিয়েছেন এবং সেখানে একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে বার্তা দিচ্ছেন হিজাব পড়ে। হিজাবটা নিয়েছেন এবং এইভাবে কানের পাশ দিয়ে ঢুকিয়েছেন। আমি একটু পরে পোস্ট করব সোশ্যাল মিডিয়ায়, আপনারা ভালো করে দেখবেন। সরাসরি হিন্দু আস্থা, হিন্দু রীতিনীতি এবং পরম্পরাতে আঘাত। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করে আগামীকাল থেকে করলে কি হতো? একদম পরিকল্পনামূলক ভাবে এটা করা হয়েছে। যেহেতু হিন্দুরা বিভক্ত, যেহেতু সব হিন্দুরা ভোট দিতে যান না এবং ভোট দিলেও কয়েক ভাগে ভাগ করেন, একটা বিশেষ বার্তা তিনি ৩২ থেকে ৩৩ শতাংশ ভোটারদের দিচ্ছেন যে, আমি একদম সেকুলার। আর বৃষ্টি পড়ার জন্যই যদি ওনার এটা মাথায় নিতে হয়, তাহলে উনি তার বদলে ছাতা নিতে পারতেন। ওনার বয়স হয়েছে, শরীর খারাপ হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য ছাতা নেওয়া যেত।”