প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ যে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে এবং সেই কারণে পুলিশ যেভাবে দলদাসের মত আচরণ করছে, তাদের সঙ্গে তাদের মত করেই ট্রিটমেন্ট করতে হবে। ইতিমধ্যেই সেই বার্তা বিজেপির একাধিক নেতারা কর্মীদেরকে দিয়েছেন। আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের একসাথে গঙ্গারামপুরে সভা করার কথা ছিল। ইতিমধ্যেই সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সেই সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে বাধাদান করার একটা পরিকল্পনা ছিল। গতকাল জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে যে, তারা সভায় এখনই অনুমতি দিচ্ছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, আদৌ এই সভা হবে কিনা! তবে শেষ পর্যন্ত সেই সভা হয়েছে। আর সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে পুলিশ অনুমতি না দিলেও তাদের অনুমতি নেওয়ার মত কোনো তোয়াক্কা যে বিজেপি করে না এবং শেষ পর্যন্ত যে বিজেপি সভা করে দেখিয়ে দেবে, তা স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের বুকে যখনই বিজেপি কোনো মিটিং মিছিল করার মত সিদ্ধান্ত নেয়, তখনই সেখানে প্রশাসনকে দিয়ে বাধাদান করার মত পরিকল্পনা করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বর্তমানে যখন পুলিশ সেই সভায় অনুমতি দিচ্ছে না, তখন বিজেপিও বিভিন্ন জায়গায় পাল্টা সভা করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, গণতন্ত্রে সমস্ত দলকে সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। শুধুমাত্র তৃণমূলের কথায় যদি পুলিশ এই ধরনের স্বেচ্ছাচারিতা করে, তাহলে তাদের যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, সেই ব্যাপারে বিভিন্ন সভা সমিতি থেকে গর্জন দিতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতাদের। আজ গঙ্গারামপুরে পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদার। তবে সেই সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ অনুমতি না দিলেও যে তারা সভা করবেন, তা জানিয়ে দেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ।
এদিন পুলিশের অনুমতি না থাকায় সভা কিভাবে হবে, তা নিয়ে সুকান্তবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “পুলিশের অনুমতির ধার ধারে না বিজেপি। বিজেপির সভা হবে। পুলিশের যদি কিছু করার থাকে, তাহলে ওরা করে নেবে। পুলিশের দৌড় কতদূর, তা আমরা জানি। আমরা এতদিন অনুমতি চেয়েছি। আর গতকাল জানাচ্ছে গাধাগুলো যে, আমরা পারমিশন দিতে পারব না। তোমার পারমিশনের কাগজ তুমি পকেটে ঢুকিয়ে বসে থাকো।”