প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশের ওপর এতদিন বিরোধীদের ভরসা ছিল না। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, যত বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে এবং যত তৃণমূল নিজেদের ঘরের ঝগড়া মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে, ততই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার তৃণমূলের অন্দরমহল থেকেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। এবার স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের গলায় শোনা গেল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্নের কথা। যেখানে বনগাঁ পৌরসভার প্রায় ৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়লেন তিনি। আর নির্বাচন যখন সামনে, তখন তৃণমূল সাংসদের এই পদক্ষেপ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ প্রকাশ শোরগোল ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। এতদিন এই দাবি তুলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছে বিজেপি। বারবার করে তৃণমূলের পাশে পুলিশ না থাকলে এই দলটাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন চ্যালেঞ্জও করতে দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতাদের। তবে এবার শাসকদলের পক্ষ থেকেই উঠলো পুলিশি অসন্তোষের কথা। যেখানে বনগাঁ পৌরসভার ৬ জন তৃণমূল কাউন্সিলারের বাড়িতে হামলা এবং গতকাল রাতে কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।
এদিন তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাড়িতে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। আর তারপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। পুলিশ যে বিন্দুমাত্র সহযোগিতা করেনি, সেই কথা উল্লেখ করে নিজের দল এবং প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেন এই তৃণমূল সাংসদ। মমতাদেবী বলেন, “বনগাঁ যে শান্ত ছিল, সেটা অশান্ততে পরিপূর্ণ হয়েছে এবং আগামী দিন আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা একেবারেই জিরো। রাতের অন্ধকারে কিভাবে ঢুকলো? কিভাবে সন্ত্রাস হলো? সেটা নিয়ে আমি এসপির সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। আইসি ফোন ধরেনি। সুতরাং এর রেজাল্ট আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।”